ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেউ অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

শনিবার (০৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।

সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৭ মাস পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এ সভা আহ্বান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী সংসদের সবাইকে ডাকা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধার্থে ৩৩ জনকে সভায় উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

সভা শেষে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— মানুষ সুশাসন চায়। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কেউ অন্যায় করলে ছাড় পাবে না।

কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার কারণে দল ও সরকারকে সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এই সব অপকর্মের সাথে দলের কিছু লোকজন জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ সব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় কেউ কেউ প্রস্তুতি নিয়ে গেলেও প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসেনি বলে জানান দলীয় সূত্র।

সভায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালে মানুষের পাশে না দাঁড়ানোয় বিএনপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তারা কি মানুষের জন্য কিছু করতে পারতো না? বিএনপির যারা ব্যবসায়ী তারাও কি মানুষকে সাহায্য করতে পারতো না? করোনার সময় যদি আওয়ামী লীগ না থেকে অন্য পার্টি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে মানুষের যে কি দুর্দশা হতো তা কল্পনাই করা যায় না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা গড়ে তুলেছেন সেই বর্ষিয়ান জননেতাদের যেন কোনভাবে অসম্মান করা না হয়। প্রবীণ ও ত্যাগী নেতারা যেন কমিটি থেকে বাদ না পড়েন।

সূত্র জানায়, সভায় বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদকরা সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের ৮টি বিভাগীয় টিম গঠন করে দেওয়া হয়।

এ সময় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যে সব জেলায় সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেই সসস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে ফেলতে হবে। সম্মেলনের পর যে সব জেলায় এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি তা দ্রুত করার নির্দেশ দেন তিনি। এ ব্যাপারে বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

পাশাপাশি সম্মেলন হয়ে যাওয়া সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও দ্রুত দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রস্তাবিত কমিটিতে যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে বা কাউকে নিয়ে আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করারও নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

আগামীতে যেসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। করোনার কারণে যে কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
করোনায় আ.লীগের ৫২২ জনের মৃত্যু, কোনো দল এত বড় ত্যাগ করেনি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।