ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউপি চেয়ারম্যানের সমালোচনা করায় আ.লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
ইউপি চেয়ারম্যানের সমালোচনা করায় আ.লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রঞ্জন কুমার মজুমদার

পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে যুবলীগের কর্মী সভায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করায় রঞ্জন কুমার মজুমদার (৫১) নামে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (০৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার পত্তাশি ইউনিয়নের চরণী পত্তাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের ঘটনায় আহত রঞ্জন কুমার মজুমদার পত্তাশি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে উপজেলার চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জন কুমার মজুমদার। সে সময় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এতে চেয়ারম্যানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়। সভার মধ্য থেকেই কয়েকজন নেতা-কর্মী রঞ্জনকে এ বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন।

পরবর্তীকালে রঞ্জন কুমার ক্ষমা না চেয়ে সভা থেকে বের হয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে স্থানীয় সুন্দর আলীর দোকানের সামনে কয়েকজন দলীয় কর্মী তার ওপর হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সে সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান এগিয়ে এলে তাকেও হামলাকারীরা লাঞ্চিত করে।

আহত রঞ্জন কুমার মজুমদার মোবাইলফোনে বাংলানিউজকে বলেন, সভায় বক্তব্য দেওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আমি বাড়ি চলে যাচ্ছিলাম। সে সময় সুন্দর আলীর দোকানের কাছে এলে লাঠি হাতে তিনজন দলীয় কর্মী আমাকে ডাকেন এবং চেয়াম্যানের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে চাপ দেন। কিন্তু আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে পিটিয়ে আহত করে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হামলায় নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, তাকে কে বা কারা পিটিয়ে আহত করেছে তা আমার জানা নেই। তবে তিনি নিজে ওই হামলায় আমার সংশ্লিষ্টতার কথা বলতে পারবেন না। বরং ওই রাতে আমিই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা করে খুলনায় পাঠিয়েছি।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজগর হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সভার বাইরে। তাই হামলাকারীদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে এমন হামলার বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় দলীয় রাজনীতি নিয়ে কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। এতে হয়তো কারো খারাপ লাগায় তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী ওই নেতা কারো নাম বলতে পারেননি। এছাড়া এ ব্যাপারে এখানো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এইচএমএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।