ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে: ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: দেশের মানুষের সব অধিকার সুপরিকল্পিতভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে সমৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে, এটা মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজকে সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায়।

শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের স্বাধীনতা আজকে বিপন্ন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, অধিকার নেই বললেই চলে। আজকে ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। তাদের (ক্ষমতাসীন দল) লক্ষ্য শহীদ জিয়া। তারা ভেবেছিলো যে, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করবার পরে জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের যে পরিচিতি সেই পরিচিতি ধবংস করে দিয়ে, তাদের মতো করে আবার সেই ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত যে শাসন ব্যবস্থা সেটা ফিরিয়ে আনবে।

তিনি বলেন, বিএনপির এখন মূল দায়িত্ব ৭ নভেম্বরের যে চেতনা, স্বাধীনতা-সার্বভৌত্বকে সুসংহত করবার যে চেতনা, গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার যে চেতনা, সেই চেতনাকে সমুন্নত রাখবার জন্য সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং তার নেতৃত্ব অবশ্যই বিএনপিকে দিতে হবে। দেশনেত্রীর মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরে পাবার লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বিএনপি সুসংগঠিত হচ্ছে।

সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের এই বাংলাদেশ ৭ নভেম্বরের বাংলাদেশ নয়, আজকের এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ নয়। আজকে আমাদের ৭ নভেম্বরের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এ দেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে গত ১১ বছর যাবত একটা মিথ্যাচারের রাজনীতি দেখছি। ইতিহাসকে বিকৃত করে মিথ্যা বলার একটা সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ক্ষমতাসীনরা বার বার মিথ্যা কথাগুলোকে সত্য বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছেন সেই গোয়েবলসের মতো, প্রপাগান্ডার মেশিন এমনভাবে চালিয়েছে মনে হয় তারা যা বলছেন তা সত্য কথা।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যারা এই জাতীয়তাবাদী শক্তির মৃত্যু দেখতে চেয়েছিলেন, তাদের ভাবনা সফল হয়নি। ব্যক্তির মৃত্যু হলেও আদর্শ বা চেতনার মৃত্যু হয় না। জিয়াউর রহমান আমাদের কাছে একটি চেতনা। যে চেতনা দেশকে ভালোবাসতে শেখায়, যে চেতনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আমাদের সাহসী করে।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ৭ নভেম্বরকে আমরা বলি সিপাহী জনতার বিপ্লব। নিঃসন্দেহে সিপাহী-জনতার বিপ্লব। কিন্তু জাসদ পন্থিরা যেই বিপ্লবের চিন্তা করেছিল সেটা নয়। এটা হলো বাংলাদেশকে রক্ষা করবার জন্য সামরিক বাহিনীর তথা সেনাবাহিনীর যে অংশ আন্তরিক ছিল তাদের সাথে থাকা ঢাকা মহানগরীর জনগণ যারা শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশ চায় তাদের পক্ষ থেকে বিপ্লব। এই জাতিকে যে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছিল, জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল সেটা তিনি (জিয়াউর রহমান) ফিরিয়ে আনেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভার শুরুতে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশনায় ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজন্ম’ ই-বুকের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।