ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক আইসোলেশনে আছে বলে সরকারের কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটের বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছেন জানিয়ে বলেন, লন্ডন - ঢাকা - লন্ডন ফ্লাইটের বিষয়ে পরিস্থিতি গুরুতর ভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক আইসোলেশনে আছে বলেই সরকারের কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না। বিএনপি মহাসচিব চিরাচরিত শব্দ চয়নে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন, একে সমালোচনা না বলে প্রতিহিংসা ও মিথ্যাচার বলা যায়। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সরকার নাকি একেবারেই ভ্রুক্ষেপহীন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন মহামারি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে তখন শেখ হাসিনার মানবিক ও সাহসী নেতৃত্বে একদিকে সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অপরদিকে জীবন জীবিকার নিরাপত্তা বিধানে গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। বিএনপি চেয়েছিলো মানুষ না খেয়ে এবং বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে, তা হয়নি বলেই তাদের এত গাত্রদাহ।
‘জনগণের ক্ষতি করার পাশাপাশি দেশের ইমেজ নষ্ট করা ও মিথ্যাচারই এখন বিএনপির একমাত্র কৌশল। আওয়ামী লীগ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেতৃত্ব যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ মহামারিসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় লড়াই চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। ’
বিএনপি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে- এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে দেশের বাজেট ছিল ৫৪ হাজার ৮শ কোটি টাকা। আর সেই বাজেট বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৬ সালের মূল এডিপি ছিল প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা, আর এখন ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। তখনকার সময় রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বর্তমানে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
‘অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়া নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসা চলছে তখন বিএনপি প্রকাশ করেছে সংশয়, তারা বলে সরকার নাকি নিজেরাই ‘রোল মডেল’ বলছে, বিএনপির এসব বানানো গল্প। বিএনপি এখন কূলহারা নৌকার মাঝি আর পথহারা পথিকের মতো তারা সরকারের অর্জনে চরম পরশ্রীকাতর। ’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা ভালো খবর কিন্তু কর্মসূচি পালনের চেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাধীনতা বিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে গোপন ও ওপেন সখ্যতা থেকে বেরিয়ে আসা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়, তাদের নিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন এক ধরনের প্রহসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এসকে/এইচএডি/