ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বর্তমান সরকার সিন্ডিকেটের সরকার: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
বর্তমান সরকার সিন্ডিকেটের সরকার: সাকি

ঢাকা: বর্তমান সরকারকে সিন্ডিকেটের সরকার বলে উল্লেখ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়রি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে, মেগা প্রকল্পে, ভূমি অধিগ্রহণে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে এবং মানুষের পকেট কেটে লুটপাট করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। কুইক রেন্টালের ভর্তুকি নিশ্চিত করার জন্য নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে।

তিনি আরও বলেন, ওয়াসার দুর্নীতি ও সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণ না করে পানির মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষের মাথায় নতুন করে খরচের বোঝা চাপিয়ে দিতে চাইছে। ক্ষমতায় আসীন থাকার জন্য যেহেতু জনগণের ভোটের দরকার হয় না, ভোট চুরি করে পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে ভয় দেখিয়ে, নির্যাতন করে রাতেই ভোট নিশ্চিত করা যায়, ফলে মানুষের ভালো-মন্দের খবর রাখার দরকারও সরকারের নেই। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া হবে না। পুলিশ দিয়ে, মামলা দিয়ে, গুম-খুন-ক্রসফায়ার দিয়ে মানুষকে আর দাবায়ে রাখা যাবে না। যে বিদেশি শক্তির ভরসায় আবার ক্ষমতায় আহরণ করতে চাইছে এ সরকার, সেখানেও পরিস্থিতি নড়বড়ে।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়ে সরকার নাটক করছে। বাংলাদেশের জনগণ এ নাটকে অংশ নেবে না। কোনোভাবেই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। এ মুহূর্তের জনদাবি হচ্ছে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকারের রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কেবল মাত্র একটি নির্বাচন এবং একবারের ভোটাধিকারের ব্যাপার নয়, বাংলাদেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার রক্ষা করার স্থায়ী সমাধান। রাষ্ট্রের এ বর্তমান বন্দোবস্ত টিকিয়ে রেখে ভোটাধিকার অর্জন করা সম্ভব নয়। শাসনের এ ব্যবস্থা সমগ্র দেশকে এক ব্যক্তির জমিদারিতে পরিণত করে। ফলে এ ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটানোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেটাই দেশবাসীর সামনে এ মুহূর্তের প্রধান কর্তব্য।

ঢাকা জেলার আহ্বায়ক বাচ্চু ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য অঞ্জন দাস, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সম্পাদক মাহবুব রতন, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘর থেকে হাতিরপুল গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিস পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।