ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বিএনপি-জামায়াত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে’ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
‘বিএনপি-জামায়াত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে’ 

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত সব সসয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

তারা চায় না উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকুক। তাই সব কাজের বিরোধিতা করে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটি থেকে নাম নিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেটাকে স্বাগত জানাবে আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে নির্বাচন কমিশন একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বরিশাল বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক প্রধান আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, সদস্য গোলাপ রব্বানী চিনু, আনিসুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সার্চ কমিটির ১০ জনের সবাই আওয়ামী লীগের লোক, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত ঘরোনার রাজনীতি ও তাদের নেতা মির্জা ফখরুল সব সময় নেতিবাচক কথা বলেন এবং এটা উনার বরাবরের অভ্যাস। তিনি মিথ্যাচার করেন, অপপ্রচার করেন এবং হতাশা ছড়িয়ে বেড়ান। রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনদের যেভাবে ঠিক করে দেবে বাংলাদেশের মানুষ সেভাবেই মেনে নেবে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে যেটি প্রয়োজন যেটি হচ্ছে নির্বাচন। আর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন। সুতরাং সে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা থাকতে হবে, শ্রদ্ধা থাকতে হবে। গণতন্ত্র বিপন্ন হোক এটা মির্জা ফখরুলরা সব সময় চায়। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকুক তারা চায় না। এটা ধারাবাহিকভাবে তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের সভার বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকে সভার মধ্য দিয়ে আমরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানো। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করার যে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। যেখানে সম্মেলন বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করব। ১২ মার্চ সকাল ১০টায় একটি ভার্চ্যুয়াল সভা হবে। আমরা বরিশাল বিভাগ দিয়ে শুরু করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এসকে/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।