ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ও পাকিস্তানকে মদদদাতা শাহ আজিজকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী যারা বাঙালিকে অকাতরে হত্যা এবং মা-বোনদের নির্যাতন করেছে তাদেরকে দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলো বিএনপি।
বুধবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থাপিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সৌধ'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ও পাকিস্তানকে মদদদাতা শাহ আজিজকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের দেশ-বিদেশে বড় বড় পদে বসিয়ে পুরস্কৃত করেছে। দেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতি করে অনেক মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি অথবা অন্য যে কোনো রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, কেউ যদি দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানির অপচেষ্টা করে তাদেরকে কোনো ভাবেই ছাড় দেয়াও হবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। বাঙালির সব অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করা অবান্তর। একজন সেক্টর কমান্ডার যিনি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পর তাঁর পক্ষে রেডিওতে পাঠ করেন তিনি কীভাবে স্বাধীনতার ঘোষক হয়?
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড