ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানুষের মনে স্বস্তি এলে বিএনপির অস্বস্তি বেড়ে যায়: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
মানুষের মনে স্বস্তি এলে বিএনপির অস্বস্তি বেড়ে যায়: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: মানুষের মনে স্বস্তি আসলে বিএনপির মনে অস্বস্তি বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন নেতাদের সামলানো নিয়ে ব্যস্ত।

তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় রাজনীতির মাঠে দলটি খেই হারিয়ে ফেলেছে। তাদের একেক নেতার একেক বক্তব্য।

মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটি পরিবারকে কার্ড দেওয়ার পরেও বাইরে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ স্বল্পমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারছে। মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। তাই বিএনপির মনে অস্বস্তি বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি একদিকে সংবাদ সম্মেলন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলে, অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ী-মজুদদাররা যাতে পণ্যের দাম বাড়ায়, পণ্য মজুদ করে- এজন্য ভেতরে ভেতরে উৎসাহ দিচ্ছে। অর্থাৎ দলটি দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের আইন-আদালত সবকিছু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে।

এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের আইন ও আদালত স্বাধীন বলেই আওয়ামী লীগের অনেক এমপির বিরুদ্ধে আদালতে রায় হয়। অনেক এমপি আদালতের রায়ে জেলে যায়। আইন-আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এ কারণে মির্জা ফখরুল ইসলামরা অনেক মামলায় জামিন পায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিএনপি যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল সেগুলোর হুকুমের আসামি হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা। এসব মামলায়ও তারা জামিন পেয়েছে, যা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।

বিএনপি নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে বিএনপি যা বলতে চায় সেটা স্পষ্ট নয়। নির্বাচনে যাবে না বলে একবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চায়, আবার জাতীয় সরকারের কথা বলে। আসলে তারা কী করতে চায় স্পষ্ট নয়। তারা একেক সময় একেক কথা বলে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন চেষ্টা করছে সব দলের একটা ঐক্য গড়ে তোলার জন্য। এটি তারা আগেও করার চেষ্টা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান, বাম, তালেবান এ সব ঘরানার ছোট ছোট দল নিয়ে মোর্চা গঠন করেছে। সে মোর্চার ফলাফল হচ্ছে পাঁচটি আসন। তবে আমরা আশা করি এবারের নির্বাচনে যেন তারা বেশি আসন পায়। তারা যে চেষ্টায় আছে তাতে যদি সফলও হয় তাহলে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
জিসিজি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।