ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
সোনারগাঁয়ে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সোনারগাঁয়ের বারদী বাজার এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুরো বারদী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও নাজমুল হক পক্ষের সঙ্গে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে জহিরুল হক ও নাজমুল পক্ষের তাজুল ইসলাম জাকির পক্ষের হাসানকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল হক ও নাজমুলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালান। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে জাকির পক্ষের জাকির সরকার, জামাল, মাসুম সরকার, বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, সামসুল, হুমায়ুন সরকার ও হাসান। জহিরুল পক্ষের তাইজুল ইসলাম, হযরত আলীসহ ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হওয়ায় জাকির সরকার, জামাল, সামসুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের পর বারদী বাজারে জহিরুল হকের লোকজন উত্তেজিত হয়ে জাকির সরকারের পক্ষের মামুন সরকার, মাজহারুল সরকার, হাসান, জাহাঙ্গীরসহ ৫-৬জনের দোকান ভাঙচুর লুটপাট চালান। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় দুজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবুর অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা নাজমুল হককে নির্বাচন প্রভাবিত করে নির্বাচিত করায়। পরে বারদী বাজারে আমাদের লোকজনকে কোনঠাসা করে রাখে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সংষর্ষের ঘটনায় আমাদের ১৫জন আহত হন।  

বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বারদী মারকাজ মসজিদের পাশে একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে মাছ চাষ করে মসজিদের আয় ও ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সম্প্রতি জাকির সরকারের পক্ষের আমিনুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান, মামুন নামের তিনজন ওই পুকুর লিজ নিতে চান।

এতে কথাকাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংষর্ষে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছেন।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২ 
এমআরপি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।