ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘হাওরে বাঁধের নামে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
‘হাওরে বাঁধের নামে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’

ঢাকা: জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন বলেছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হাওরে বাঁধ দিতে গিয়ে যে সিন্ডিকেট লুটপাট করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে দুর্নীতিমুক্তভাবে হাওরবাসী ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ঈদের আগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মুখে যেন হাসি ফুটে সেই ব্যবস্থা সরকারকে নিতে হবে। মানুষের অধিকার হরণ করে জাতির কোনো উন্নয়ন সমাজে বেশি কার্যকর হয় না। করোনাকালে কৃষকরা যেভাবে আমাদের সাপোর্ট দিয়েছে, এখন তাদের পাশে আমরা যদি না দাড়াই তাহলে জনগণ আমাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাঁচাও হাওর-বাঁচাও দেশ’ ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রোকনুজ্জামান রোকন।

সুনামগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি এনামুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের যুগ্ম সম্পাদক মির্জা আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, জাসদের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সেলিম, জাতীয় কৃষক জোটের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, আরট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান তপন, ন্যাচার ক্যাম্পেইন বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব সাজ্জাদ সাজু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিদুল হক ননী, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন, জাতীয় আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান প্রমুখ।

সংহতি প্রকাশ করেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আক্তার, জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল মোমেন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৮৫টির বেশি নদনদীর পানি শুকিয়ে গেছে। এতে বাড়ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। পাতালেও মিলছে না পানি, চাষাবাদে ঘটছে পরিবর্তন, তাপমাত্রায় পারদ উঠছে, এই সময় সুনামগঞ্জসহ দেশের হাওর অঞ্চলের কৃষকের মাথায় হাত। যখন ফসল ঘরে ওঠাবে তখন পানিতে ভেসে গেছে সব ফসল। নির্দিষ্ট সময় বাঁধ কখনো দেওয়া হয় না। যখন পানিতে সফল ডুবে যায় তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টনক নড়ে। তখন এক শ্রেণির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উন্নয়নের নামে চলে চরম লুটপাট। সাধারণ কৃষকরা বার বার হয় বঞ্চিত। অথচ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা তারা অপচয় করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।