ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এবি পার্টির মুক্ত সংলাপ ও গণ-ইফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এবি পার্টির মুক্ত সংলাপ ও গণ-ইফতার

ঢাকা: এবি পার্টির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন: গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ, পন্থা এবং পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক মুক্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) এবি মিলনায়তনে দলটির আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনের পথ ও পন্থা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই আমাদের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ভাবতে হবে। একটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কোনোভাবেই আর গ্রহণযোগ্য হতে পারবে না। আবার গণ-আন্দোলন ব্যতিরেকে এই সরকারের পতন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কাজেই বিরোধী দলগুলোকে ঐকমত্যে আসতে হবে সরকারের পতন আন্দোলনের ব্যাপারে।

প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, সব দলই এই সরকারের পতনের ব্যাপারে একমত কিন্তু কার নেতৃত্বে আন্দোলন হবে, নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে এবং সবাই একজোট হয়ে আন্দোলন করার ব্যাপারে একত্রিত হওয়া কঠিন ব্যাপার। আমাদের একটি বিভাজিত সমাজ। সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দুর্বৃত্তে ঘিরে আছে সব রাজনৈতিক দল। কাজেই শুধু একটি নির্বাচনই সমস্যার সমাধান নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা নেই। তারা মনে করে একদল যাবে আরেক দল আসবে, আমাদের কী হবে! জনগণের সামনে আগে আপনারা রাষ্ট্র নিয়ে আপনাদের ভাবনা উপস্থাপন করুন, তাদের লাভ-লোকসান বোঝার সুযোগ না দিলে কেন তারা আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত হবে? একটি যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবি পার্টি চমৎকার একটি আলোচনা শুরু করেছে। আজ জাতির সামনে বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ভবিষ্যত পরিষ্কার করতে হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একেক পক্ষ একেক রকম চিন্তায় রয়েছে। যে যে চিন্তায়ই থাকুক ন্যূনতম বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এই সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এবি পার্টির সাথে আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক, আমরা একসাথে রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ। এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে, যার মেয়াদ ৩/৪ মাস হলে হবে না। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্রশাসনকে হটিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন থাকবে, যারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে।

বিশিষ্ট কলামিস্ট গৌতম দাস বলেন, আন্দোলনে বিজয়ী শক্তি ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যায় না। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে, যে সরকার প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের প্রতিটি স্তরে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে।

মুক্ত সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, গণ আজাদী লীগের মহাসচিব আতা উল্লাহ খান, নাগরিক ভাবনার আহবায়ক হাবিবুর রহমান, শিক্ষক ও গবেষক প্রফেসর ড. শহীদ মঞ্জু, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

মুক্ত সংলাপ শেষে বিজয় একাত্তর চত্বরে গণ ইফতারের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রায় দেড় হাজার ঢাকাবাসী পথচারী ইফতারে অংশ নেন।

এ সময় এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারি সদস্য সচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।