ঢাকা: রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। তার আগেই সমাবেশস্থল নগরীর ঈদগাহ মাঠে মানুষের ঢল নেমেছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকেই কানায় কানায় ভরে উঠছে নগরীর ঈদগাহ মাঠ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘট উপক্ষো করে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে আসা নেতাকর্মীরা এখন সমাবেশ শুরুর অপেক্ষা করছেন।
মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই ভোর হওয়ার আগেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।
এদিকে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রংপুরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট থেকে সাতমাথা মোড়ে নেতাকর্মীরা এসে অটোরিকশা থেকে নামছেন এবং সেখান থেকে হেঁটে রংপুর নগরীর মাঠের সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছেন। অন্যদিকে রংপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় গাইবান্ধা, রংপুরের পীরগঞ্জ ও অন্যান্য জেলার লোকজন অটোরিকশা করে সমাবেশে আসছেন।
রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, মেডিকেল মোড়, ডিসির মোড়, রাধাবল্লভ, কাচারি বাজার, সরকারি কলেজ রোড হয়ে সমাবেশস্থল নগরীর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। দলে দলে হেঁটে হেঁটে মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে আসছেন তারা।
রংপুর মহানগর বিএনপির নেতারা বলছেন, দুপুর ১২টার আগেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে সভামঞ্চসহ আশপাশে মাইক লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। তবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তারা।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।
দুপুর ২টায় রংপুরের ঐতিহাসিক নগরীর ঈদগাহ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল খালেক, যুবদল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন বিপ্লব, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নেওয়াজ লাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনক ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন, ওলামা দল কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ইনামুল হক মাজেদী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুর রহমান রানা, ব্যারিস্টার রাজিব প্রধান, ফরহাদ হোসেন আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
আরবি
