রংপুর: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। দল নির্দেশ দিলেই আমাদের এমপিরা পদত্যাগ করবে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ আজ দুপুরে শুরু হলেও শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করে হাজার হাজার নেতাকর্মী। রাতভর সেখানেই ছিলেন তারা। ভোর থেকে বাড়তে থাকে জনস্রোত। যে যেভাবে পেরেছেন সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রয়োজনে জাতীয় সরকার হবে। যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে হবে। দেশের অর্থনীতি মেরামত করার জন্য সরকার কাজ করবেন। এ সরকার সব শেষ করে দিয়েছে , তা ঠিক করতে হবে।
তিনি বলেন, হাসিনা বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিলে চাকরি হয়। ঘুষখোর, ভোট চোর। তাকে আর দেখতে চায়না মানুষ। ১৫ বছর ধরে অত্যাচার চালিয়েছে, সর্বনাশ করেছে। অর্থনীতি খেয়েছে। এখন বাংলাদেশ খাওয়ার পায়তারা করছে।
তিনি বলেন, গৃহবন্দী আছেন নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি অসুস্থ, তবুও তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। পরিবার, চিকিৎসক বলেছেন তাকে বাইরে পাঠানো দরকার। সে সুযোগও দেওয়া হয় নাই। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে। ৬০০ বেশি মানুষকে গুম করেছে। হত্যা করেছে অনেককে।
দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতদিন কি বললেন, দেশ মধ্য আয়ের হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া হয়ে গেছে। অথচ মানুষ খাবার পায় না। সব কিছুর দাম অতিরিক্ত। কি খেয়ে থাকবে মানুষ।
ফখরুল বলেন, মার্কিন রিপোর্ট বলেছে, এ সরকার মিথ্যা বলে। মানবাধিকার নিয়ে যে রিপোর্ট দেয় তা মিথ্যা। নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় এসেছে এ সরকার।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, মানুষ এখন তাদের রুখে দেবে। বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, রিভলবার সব ভেঙ্গে চুরমার করে দেবে। একনায়ক হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ জেগে উঠবে।
গণসমাবেশে বক্তব্য দেন- রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামা সামুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
জেডএ