ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পৌর কাউন্সিলরের যৌন হয়রানিচেষ্টার ভিডিও ভাইরাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
পৌর কাউন্সিলরের যৌন হয়রানিচেষ্টার ভিডিও ভাইরাল

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভায় পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এক নারীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  

ভিডিওটিতে দেখা যায় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম খান এক নারীকে টেনে জোর করে জাপটে ধরে যৌন হয়রানির চেষ্টা করছেন।

কাউন্সিলরের এ ঘটনা গত ১২ অক্টোবর রাস্তার পাশে থাকা একটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়।  

জানা গেছে, মির্জাপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম খান ১২ অক্টোবর রাতে তার ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার এক বাড়িতে জন্মদিনের দাওয়াতে যান। এ সময় এক নারীকে কৌশলে বাড়ির বাইরে ডেকে আনেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর ওই নারী চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এসময় শামীম ওই নারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরে যৌন হয়রানির চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি মুসলিমপাড়া-পাহাড়পুর রাস্তায় থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোক লজ্জার ভয়ে ওই নারী কোথাও এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি বলে জানা গেছে।

এদিকে একাধিক অপকর্মের অভিযোগ ওঠায় দলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য স্থানীয় লোকজন তাকে দলীয় পদ এবং পৌর পরিষদ থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন।  

এ ব্যাপারে কাউন্সির শামীম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তার নিজের নয় দাবি করে বলেন ছবিটি আমার। ঢাকা থেকে আসা মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা আলাউদ্দিন মিন্টু নামে এক ব্যক্তি আমার মাকে বলেছেন, শামীমকে দেখে নেব। মিন্টু ওই ভিডিওটি বানিয়ে ভাইরাল করেছে। জন্মদিনের দাওয়াত থাকায় ওই সময় তিনি ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ মে বুধবার পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুলের নির্দেশ উপেক্ষা করে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ তালুকদারের উপস্থিতে শামীম খান ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে মির্জাপুর বাজারের বাসিন্দা মোকাদ্দছ খানের মার্কেটের একটি দোকানের তালা ভেঙে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া গত ১৯ জুলাই ওই ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি পৌর পরিষদে জমা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ২৫ জনের টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

আলাউদ্দিন মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভিডিও বানানো যায় না। এছাড়া মামলার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। কাউন্সিলর শামীম তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেউ বিচার দাবি করলে শামীমের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।