ফরিদপুর: অবশেষে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
ফরিদপুর জর্জ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন তার মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) জামিন পান তিনি। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ফরিদপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ছয়টা মামলা দায়ের করা হয়। তার সবকটিতে আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ৩২(২১) মামলায় হার্ইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।
প্রসঙ্গত, গত ০৮ জুলাই সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। সে সময় তিনি দৌঁড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিলে, হামলাকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া এলেম শেখ ও তার স্ত্রী জয়গুন বেগমকে মারধর করে। এতে তারা আহত হন বলে অভিযোগ ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের। পরে ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে গত ০৯ জুলাই ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন জয়গুন বেগম।
সেই মামলায় গত ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় ওই আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে মামলায় অন্যদের সবার জামিন হলেও তিনি জামিন পাননি তখন। এরপর তার (ওয়াদুদ মাতুব্বর) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু মামলা দায়ের করে কিছু ভুক্তভোগী। সর্বশেষ সালথার আলোচিত সহিংস তাণ্ডব মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। সেখানে চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন ওয়াদুদ মাতুব্বর। কয়েক দফা ফরিদপুর জর্জ কোর্ট ও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলেও জামিন নামঞ্জুর হয় তার। পরবর্তীকালে বুধবার (০৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
১৩ নভেম্বর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
এসআরএস