রাজশাহী: আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ততই উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ছে।
পরিদর্শন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেন, গণসমাবেশ সফল করতে রাজশাহী মহানগর, জেলা ও বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডসমূহে রীতিমতো প্রস্তুতিমূলক সভা চলমান রয়েছে। এ সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আটটি বিভাগের থেকে দুই গুণের অধিক জনসমাগম রাজশাহীতে হবে। কানায় কানায় ভরিয়ে দেওয়া হবে পুরো রাজশাহী মহানগরী। বাধা ও পরিবহন বন্ধ করে সমাবেশের এতটুকু ক্ষতি এ অনির্বাচিত সরকার করতে পারবে না। কারণ মানুষ জেগে উঠেছে। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে জনগণ মহাবিপদে পড়ে গেছে। এখন মানুষ এ নিশিরাতের সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়। এ লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারা সব বাধা অতিক্রম করে যেমন অন্যান্য বিভাগের গণসমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। তেমনি রাজশাহীর গণসমাবেশেও হাজির হয়ে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে উঠবে বলে এ সময় উল্লেখ করেন মিনু।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসা মাঠ ও গণসমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, গণসমাবেশের মঞ্চ কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, জেলা বিএনপির সদস্য জাহান পান্না, রোকনুজ্জমান আলম, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, আলী হোসেন, রায়হানুল ইসলাম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, তাজমুল তান টুটুল, তোফায়েল হোসেন রাজু।
আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজশাহী জেলা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, রাজশাহী জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, চারঘাট বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
এসএস/আরবি