সাভার, (ঢাকা): সদ্য কমিটি হওয়া ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির নেতাদের নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। পদবঞ্চিত দাবিকারী নেতাকর্মীদের নানা অভিযোগের বিপরীতে হচ্ছে সমালোচনাও।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ধামরাই উপজেলার ক্যাফটেরিয়ায় বসে তার ও বর্তমান ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আশ শাবীব।
আব্দুল্লাহ আশ শাবীব বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তারা এনেছেন সেই বিষয়গুলো আমি পরিষ্কার করতে চাই। প্রথমে বলবো ধামরাই উপজেলার কথিত ছাত্রলীগ নেতা ও তথাকথিত ধামরাই কলেজের ভিপিসহ বাকিরা মূলত নবগঠিত কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সময় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমার নামে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে ছাত্র-শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগসহ আমার দুই ভাই আল-সোয়ায়েব ও তাসলিম জেএমবির হয়ে অপরাধে জড়িয়ে যাবৎ-জীবন সাজা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ করছেন। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমার বাবা ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ব্যাচের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী, পরবর্তীতে কালিয়াকৈরে ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। আমার বাবাকে ধামরাই উপজেলার আওয়ামী লীগের যে প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা রয়েছেন। তারা খুব ভালো করে চিনেন। আমরা বাবা বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে লিখালিখি করেছিলেন। সেসঙ্গে আমার কাকা একজন সচিব। সবাই আমার পরিবার সম্পর্কে অবগত আছেন।
তিনি ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে বলেন, ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে আমি তখন থেকেই জড়িত। ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে এখনো আছি। আমি মূলত যে ইউনিয়ন থেকে ছাত্রলীগে এসেছি তা অনেক কষ্ঠ সাধ্য ছিল। ২০১৪ সালে যখন জামায়াত-বিএনপি জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করেছিল তখন ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে আমিও ছিলাম। তাহলে আমি শিবিরের সঙ্গে যুক্ত কিভাবে।
তার দুই ভাই জিএমবির সঙ্গে জড়িতর বিষয়ে তিনি বলেন, আমার দুই ভাই এখন ইউরোপের জার্মানিতে আছে। তারা কীভাবে জিএমবির সদস্য হয়। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সবকিছু মিথ্যে।
এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে যারা এখন অপপ্রচার করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাবিব নামের একজন। তিনি কখনোই ভিপি না। অথচ তিনি ভিপি পরিচয় দেন। ভিপি হতে হবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আসতে হবে। এছাড়া তিনি ধামরাই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। অথচ জেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটির প্যাডে তার নাম নেই। তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে দাবি করে তার তো ছাত্রলীগ করা মতো কোনো যোগ্যতায় নেই।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আমরা ছাত্রলীগের কমিটি পেলাম। এতো দিন ধরে ধামরাই ছাত্রলীগের কোনো কমিটি ছিল না। আমরা যারা কমিটিতে আছি আমাদের সহয়তা করে তারা আমাদের পাশে থাকার কথা। অথচ তারা আমাদের নিয়ে নানা জায়গায় অপপ্রচার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এসএফ/এএটি