হবিগঞ্জ: আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির বৈঠকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত ও বিএনপির এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশের দাবি বিএনপি নেতারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে বিএনপি বলছে, গণসমাবেশ সফলের জন্য তারা প্রচারপত্র বিলি শেষে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়াই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
রাতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলাবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় সংগঠনটির ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী বিস্ফোরক ও অস্ত্র নিয়ে মাঠে বসেছিলেন। পুলিশ সেখানে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সেখান থেকে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সেখান থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে।
তবে, সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নেতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে এক জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে। সিলেটের গণসমাবেশে জনস্রোত হবে। সেজন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এমএমজেড