ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

এখনো কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এখনো কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

ঢাকা: আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির কোনো প্রতিবেদন এখনো হাতে আসেনি।

আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।  

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের আয়োজিত ‌‌দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নোকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২' উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শেষে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যারা সহযোগিতা করেছিল তাদের মধ্যে একজন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জামিনে মুক্ত ছিল। আশা করি, আমরা খুব শিগগিরই বাকিদের অবস্থান শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।

গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়সংলগ্ন ঢাকার সিজেএম আদালতফটকের সামনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে সহযোগীরা ছিনিয়ে নেন।

ঘটনার দিনই (২০ নভেম্বর) ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে সভাপতি করে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির তদন্ত কমিটির সভাপতি হলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস), যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি), লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও ডিএমপির সিআরও’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার।

এ তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরদিন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় সেই কমিটিকে।

একজন ডিআইজিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম মেট্রো) মো. হাসানুজ্জামান, সিটিটিসির ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মেট্রো সাউথ) মো. আনিচুর রহমান।

তবে এসব কমিটির রিপোর্ট এখনও সম্পন্ন হয়নি।

প্রসঙ্গত, একটি মামলায় শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে দুই জঙ্গির সহযোগীরা হাজতখানা পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে, কিলঘুষি মেরে মইনুল হাসান শামীম ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেন। এরপর তারা দুটি মোটরসাইকেলে রায়সাহেব বাজার মোড়ের দিকে পালিয়ে যান।

ঘটনার পর পর রাজধানী ঢাকায় রেড এলার্ট জারি হয়। ঢাকার  বিভিন্ন অলি-গলিতে বিভিন্ন ধরনের চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঢাকাসহ সারাদেশে সতর্কতা জারি করা হয়।

দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এসজেএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।