ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নিজ এলাকায় আ.লীগের সম্মেলনে দাওয়াত পাননি, যা বললেন পঙ্কজ নাথ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
নিজ এলাকায় আ.লীগের সম্মেলনে দাওয়াত পাননি, যা বললেন পঙ্কজ নাথ

বরিশাল: নিজ সংসদীয় এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দেখা গেল না নৌকার প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়া বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে।

সম্মেলনে পঙ্কজ নাথ দাওয়াতই পাননি বলে জানা গেছে।

আর তাই তাকে মঞ্চে কিংবা দর্শক সারিতে দেখতে পাননি উপস্থিত নেতাকর্মীরা।  

স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের ভাষ্য, কেন্দ্র থেকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় দুই উপজেলা ও এক থানা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পঙ্কজ নাথকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানান, পঙ্কজ নাথকে আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাকে দলীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি দলের একজন কর্মী। আর সেন্ট্রাল থেকেই আমাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তাহলে তারা কোন সাহসে আমাকে ডাকবে, আর আমি যাবই কোন মুখে।

কর্মী হিসেবে যেতে পারতেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুযোগ ও পরিস্থিতি সবই ছিল। যদি আমি মনে করতাম আমি যাব, যা হবার হবে, তাহলেই হতো। আবার মনে করলাম সিনিয়ররা আসবেন, গেলে যদি একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে কি দরকার! 

তিনি আরও বলেন, সম্মেলনটা ভালোয় ভালোয় হয়ে যাক এটাই চেয়েছিলাম। আর মানুষ তো নানান কারণে, অসুখ হলে, পেট খারাপ হলে, পরীক্ষা থাকলেও তো যায় না। সে রকম কোন কারণ তো থাকতেই পারে। প্রায় এক যুগ পরে সম্মেলনগুলো হলো সেটাই দলের বড় সাংগঠনিক অর্জন। কাজেই আমার যাওয়া না যাওয়া বড় কথা নয়।

টানা প্রায় এক দশক ধরে বিএনপির হাতে থাকা বরিশাল-৪ আসনটি পঙ্কজ নাথের হাত ধরে পুনরায় ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের হাতে আসে।  

স্থানীয়রা বলছেন, এ আসনটিতে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও পঙ্কজ নাথের কারণে বিএনপি-জামাত জোট কখনো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংখ্যাও বেড়েছে।  

যদিও আ.লীগের অনেকে বলছেন, এই সংসদ সদস্য ও তার নিজস্ব লোকজনের কারণেই ত্যাগী নেতাকর্মীরা এতোদিন অনেকটাই কোনঠাসা হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর হিজলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এরপর গত বুধবার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা এবং গত শুক্রবার কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আর এ তিন  উপজেলায় সম্মেলনের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় রাজনীতিতে পঙ্কজ নাথের বিরোধী হিসেবে পরিচিতরা। যারা পেয়েছেন পদও, তাই এখন কোণঠাসা হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন পঙ্কজের অনুসারীরা।

পঙ্কজের নিজ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের নতুন কমিটিতে-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিনকে সভাপতি, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক এবং আব্দুল মোতালেব জাহাঙ্গীরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।  

এছাড়া সংসদীয় আসনের অন্য উপজেলা হিজলায় সুলতান আহমেদকে সভাপতি ও এনায়েত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর কাজীরহাটে সভাপতি করা হয়েছে আবদুল জব্বার খান ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জিল্লুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২ 
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।