নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের করার অভিযোগে বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতাদের স্পষ্ট দাবি, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কেউ দেখেনি, এটি সাজানো ও গায়েবি মামলা।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন বাদী এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই রাজুকে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরশেনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গোপন মিটিং করছেন, এমন গোপন সংবাদ ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পুলিশের ওপর ককটেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১১ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুড়লে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও একটি বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, এটি যে সাজানো ঘটনা তার কোনো সন্দেহ নেই। পুরো মামলা সাজানো। গায়েবি মামলা এটি। ওপেন চ্যালেঞ্জ এমন ঘটনা ঘটেছে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। গুলি হলো, ককটেল ফুটলো কেউ আওয়াজ পেল না!
মামলাত অভিযুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানান, এ ধরনের নাটক গায়েবি মামলা দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। এতে আন্দোলনের গতি আরো বাড়বে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, শনিবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলা করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিল, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশের ওপর ককটেল ছোড়েন তারা। এতে আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়লে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যান। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২২
এমআরপি/এএটি