ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

শাহজালাল বিমানবন্দর

অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, বাড়তি ব্যয় ২০০ কোটি টাকা

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, বাড়তি ব্যয় ২০০ কোটি টাকা অক্টোবরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে চলছে নির্মাণকাজ | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলছে। বিশাল এই কর্মযজ্ঞের অগ্রগতি ৬১ শতাংশের বেশি।

চলতি বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, নির্দিষ্ট সময়েই উদ্বোধন হবে নতুন এই টার্মিনালের। মূল কাজের চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত হবে। এতে করে অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়বে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৪ সাল। কিন্তু, অক্টোবরে একাংশের উদ্বোধনের জন্য কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। পাশাপাশি নতুন সংযুক্ত হওয়া কাজের জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ, যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক)।

এ বিষয়ে কথা হয় বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমানের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, যে অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা বলা হচ্ছে, এটা আসলে থার্ড টার্মিনালের প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য কোনো অতিরিক্ত টাকা লাগবে না। এটা প্রথম কথা। এখানে অতিরিক্ত টাকাটা যেটা লাগছে, সেটা আমরা থার্ড টার্মিনালে কিছু অতিরিক্ত কাজ সংযুক্ত করেছি বলে। যেটাকে এডিশনাল স্কোপ বলে। এর ভেতরে আগে বোর্ডিং ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল ১২টি, এখন বোর্ডিং গেট হবে ২৬টি সংখ্যায় ৫৪টি। এটার জন্য যে অবকাঠামো হবে, যে যন্ত্রপাতি লাগবে এগুলোর জন্য যে খরচটা হবে, সে খরচটাও চেষ্টা করেছিলাম আগের টাকার মধ্যেই সম্পন্ন করতে। কিন্তু, বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এই টাকা অতিরিক্ত লাগবে। কারণ এটা আগের টাকায় করা যাবে না। এটার জন্য জাইকার অনুমোদন লাগবে। জাইকা যদি অনুমোদন দেয়, তাহলে ওই কাজটা হবে। এটার জন্য ব্যয় বাড়বে। আর না হলে, চুক্তিতে যে টাকা আছে সে টাকার মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে।

অক্টোবরেই উদ্বোধন
তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন অক্টোবরেই হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, অক্টোবরে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ এগোচ্ছে।

কেন আংশিক উদ্বোধন হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, অক্টোবরে মোট প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর সফট ওপেনিং (আংশিক উদ্বোধন) হবে। প্রধানমন্ত্রী সেটি উদ্বোধন করবেন। সফট ওপেনিং বলা হচ্ছে এ কারণে, টার্মিনালের কাজ আসলে অ্যাকমোডেশনের মতো না যে, কাজ শেষ করলাম এরপর উঠে গেলাম। এখানে অবকাঠামোর কাজ শেষ হবে, তারপর টার্মিনাল চালু হবে। এবং পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে এর ব্যবহার শুরু হবে। এটাকে ট্রানজিশন পিরিয়ড বলে। সিঙ্গাপুরে এরকম হয়েছে, আপনি খোঁজ নিলে দেখবেন।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে একটি পৃথক আমদানি-রপ্তানি কার্গো হাউস স্থাপন ও নতুন ভিভিআইপি টার্মিনাল প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা করা হয়।

এরপর, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। নির্মাণকাজের ব্যয়ে সরকারি কোষাগার থেকে যাবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর, বাদ-বাকি অর্থ দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। প্রকল্পটি পরিচালনা করছে এডিসি। তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।