মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: সিউলের কোয়েকসে বইমেলা হয়। কিন্তু সেটা খুবই ছোটো পরিসরে।
বইমেলার ২১তম দিনে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দক্ষিণ কোরিয়ার সিয়্যুনইয়্যুন পার্কের সাথে কথা হলে এভাবেই তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন বাংলানিউজের কাছে।
পার্ক জানান, তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। ইন্টারন্যাশনাল ইয়্যুথ এক্সচেঞ্জ সেন্টারে নামে একটি স্বচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে এদেশে এসেছেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৭ জনের একটি টিমের হয়ে তিনি এদেশে এসেছেন প্রথমবারের মতো। বাকি ১৬ জনের অভিজ্ঞতাও তাই। গত কয়েকদিন হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গলে কাটিয়ে শুক্রবার সকালে এসেছেন ঢাকায়। ঢাকায় পা রেখেই তারা প্রথমে যান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।
ঐতিহাসিক একটি দিনকে মানুষ এভাবে স্মরণ করতে পারে পার্কসহ ১৭ জনের অভিজ্ঞতায় এটাই প্রথম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার বিষয়টিতেও অভিভূত তারা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি মাথায় রেখেই তারা প্রথমে শহীদ মিনারে যান। এরপর আসেন বইমেলায়। টিমের সঙ্গে আছেন কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কয়েকজন।
তাদের মধ্যে যাভেদ ইকবাল জানালেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতেই তারা আজ সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে তারা ঢাকায় এসেছেন। এখান থেকে জাতীয় যাদুঘর, চিড়িয়াখানা ঘুরে আজ রাতেই ফিরে যাবেন।
বাংলানিউজকে যাভেদ বলেন, ১৭ জনের এই টিমটিতে চিকিৎসক, সাংবাদিক, উন্নয়ন কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ আছেন অনেকেই।
এদের মধ্যে লি, ডং-হুয়াং কোরিয়ার একটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে না আসলে এতবড় আয়োজনের অভিজ্ঞতা হতো না। মাসব্যাপী বিশাল এই বইমেলা না দেখলে বোঝা যাবে না বাংলাদেশ ভাষার জন্য এতবড় আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪
* শহীদ মিনার থেকে বইমেলায়