ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

মেলায় মাধব দীপের ‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫
মেলায় মাধব দীপের ‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৩তম দিন সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মেলায় এসেছে কবি মাধব দীপের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’।

কবিতায় গদ্যছন্দ উত্তরাধুনিক কাব্য সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।

এ সংযোজনের কাজটি প্রথম কে শুরু করেছিলেন তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে না যাই। বরং মাধব দীপের ‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’ কাব্যের প্রথম কবিতাটির দিকে একটু দৃষ্টি দিই-

‘দ্যাখো-সুরা হাতে তোমার ভিতর ডুবে যাওয়ার মতোন প্লাবন নেমেছে শহরে/ জানি এই সময়ে- এই তল্লাটে তোমাকে মনে করার চেয়ে বড় কোনো উৎসব নেই আমার। যদি অবরোধ ডাকো কখনো- আমি নিশ্চিত অচল হবে। তবুও- তোমাকে আমার স্বপ্নের নমিনি করবো। ’

সময়কে ধারণ করাই মহৎ কবির কাজ। চলমান ঘটনাপঞ্জী কবির হৃদয়ে দোলা দেয়। সেই দোলনটা যদি কবির হৃদয়ের অনুভূতি বা একান্ত ব্যক্তিগত কামনা-বাসনা ও আনন্দ-বেদনা প্রাণের অন্তস্থল থেকে আবেগকম্পিত সুরে অখণ্ড ভাবমূর্তিতে আত্মপ্রকাশ করে তাহলেই সেটি হয়ে ওঠে কবিতাপদবাচ্য।

‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতাটি চার লাইনের। কিন্তু এর আবেশটা এক লাখ ৫৫ হাজার ৫শ’ ৭০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত ব্যাপ্ত।

‘আমাদের রক্তে আজ হিমোগ্লোবিন নেই-
আছে শুধু লাল আগুনের কণা,
ন্ধদয় আমাদের শাহবাগ-
স্লোগানের সব সুর এখানে ঘাতকের মৃত্যুফণা’

মাধব দীপের ‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’ কাব্যগন্থের প্রথম কবিতা দু’টিই জানান দিচ্ছে পুরো বইটিতে কী রয়েছে। এ কাব্যের কোনো একটি কবিতা যদি কবিকে অমরত্ব এনে দেয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!

‘আশ্চর্য অন্ধত্ব’ প্রকাশ করেছে প্রকাশনী সংস্থা ‘তৃতীয় চোখ’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন জিয়াউদ্দীন চৌধুরী। শক্ত বাঁধাই আর ঝকঝকে ছাপার ৫০ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।