ঢাকা: রোবট বানাতে বানাতে মানুষগুলোই রূপান্তরিত হচ্ছে রক্ত-মাংসে গড়া রোবটে। উদার আকাশের চোরাগলি পথে সুনামির বেগে রক্ষণশীল সমাজ দেহে ঢুকে পড়ছে পশ্চিমা সংস্কৃতি।
রক্ষণশীলতা আর আধুনিকতার সমন্বয় কীভাবে করছেন নীতি-নির্ধারকরা? পারমানবিক চুল্লি বগলে চেপে শান্তির কপোত-উড়াতে যাওয়া দেশটি কেন দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে ঋণের জালে?
এমনই হাজারো প্রশ্ন। এসব বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সমাজ। যাপিত জীবনের লাল-নীল-বেগুনী সুখ আর দুঃখের পাঁচালী একবছর ধরে শহর-বন্দর-পর্বত-সাগর-মাঠঘাট চষে বেড়িয়ে আবু নাছের টিপু লিখেছেন তার ভ্রমণকথা ‘সূর্যোদয়ের দেশে’।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে (৩২৬-৩২৮) পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
চিরযৌবনা আর রাতের লাস্যময়ী এক শহর নিয়ে লেখকের আরেকটি ভ্রমণবিষয়ক বই ‘চিরযৌবনা বার্সেলোনা’।
মেসি-নেইমারদের যাদু আর পিকাসো-অ্যান্তেনিও গোদির শিল্পকলার ওই শহরে উচ্ছ্বাস আর উপভোগের পেয়ালায় উপচে পড়ে জীবনের রূপ-রস-ঘ্রাণ দেখেছেন লেখক।
সুনীল সাগরের বালুকা বেলা কিংবা মন্টজুইক পর্বতের শীর্ষে বসে খুঁজেছেন জীবনের অন্যরূপ।
ম্যাজিক ফাউন্টেনের জলনৃত্যের মুদ্রায় আর আলো-আঁধারীর সুর-মূর্ছনায় হারিয়ে খুঁজবেন নিজেকে, মুছে যাবে কপালের বলিরেখা-বার্সেলোনা ঘুরে এমনই কথা লেখকের।
এ বইটিও অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে (৩২৬-৩২৮) পাওয়া যাচ্ছে।
‘সূর্যোদয়ের দেশে’ ও ‘চিরযৌবনা বার্সেলোনা’ ভ্রমণকারী লেখক আবু নাছের টিপু একজন সরকারি চাকরিজীবী।
বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যার জননী, তার স্ত্রী রূপা একজন গৃহিণী।
লেখালেখি হাতেখড়ি সেই ছাত্রজীবন থেকেই। পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পুরস্কার। ছোটগল্পের পাশাপাশি শিক্ষা, সমসাময়িক উন্নয়ন, গভর্নেন্স ইস্যুতেও লিখে যাচ্ছেন নিয়মিত।
এরইমধ্যে গবেষণাধর্মী বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সাম্প্রতিক বাস্তবতা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাম্প্রতিক প্রবণতা, জীবনীগ্রন্থ একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, উন্নয়নধর্মী 'সাফল্যের ধারাবাহিকতায় যোগাযোগখাত' এবং আইন বিষয়ক 'গণমাধ্যম ও প্রকাশনা বিষয়ক আইন’ নামে ছয়টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫