প্রথমবারের মতো এই সম্মাননা পেয়েছেন ৬ জন লেখক। এরা হলেন- জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূর উল ইসলাম, ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক, ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে জীবনব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের পুষ্পস্তবক, সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট ও উত্তরীয় অর্পণ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অসুস্থতার কারণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের অনুপস্থিতিতে তার পুত্র আনন্দ জামান পিতার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, এই ছয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি আমাদের ভাষা-সাহিত্য ও দেশ-জাতির গর্ব। একুশের অনুষ্ঠানমালার শুরুতে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে বাংলা একাডেমি তাদের সম্মাননা প্রদান করে সমষ্টিক ঋণ স্বীকার করলো মাত্র।
এর আগে সকালে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আমন্ত্রিত বিদেশি লেখকরা বক্তব্য দেন ও নিজেদের কবিতা আবৃত্তি করেন। অধ্যাপক ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- অস্ট্রিয়ার মেনফ্রেড কোবো, জার্মানির ইওনা বুরঘার্ট ও টোবিয়াস বুরঘার্ট, পুয়ের্তোরিকোর লুস মারিয়া লোপেজ ও মারিয়া ডি লোস অ্যানজেলেস কামাকো রিভাস, রাশিয়ার ভিক্টর আলেক্সান্ড্রোভিচ পোগাদাইভ এবং চীনের ডং ইউ চেন (চীন)।
দুপুরে আমন্ত্রিত বিদেশি কবি-লেখকদের সঙ্গে বাংলাদেশের কবি-লেখকদের মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুহম্মদ নূরুল হুদা, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মিজারুল কায়েস, শামীম আজাদ, আমিনুর রহমান, সুমন রহমান, রশিদ আসকারী অংশগ্রহণ করেন।
অধিবেশনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের কবি-লেখকরা বলেন, মানব-অনুভবের সার্বজনীন ঐক্যের মাঝে ভাষার ভিন্নতা কোনো বিভাজনের দেয়াল তুলতে পারে না। বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে হৃদয়সেতু বিনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে সাহিত্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬
এমএন/জেডএম