এর মধ্যে গল্পের বই ১৪টি, উপন্যাস ১১টি, প্রবন্ধের ১০টি, কবিতার বই ২২টি, ছড়ার বই দু’টি, ভ্রমণের বই দু’টি, ইতিহাসের দু’টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের বই তিনটি, কম্পিউটারের ওপর একটি বই, শিশু সাহিত্যের বই চারটি, রচনাবলী একটি, বিজ্ঞানের বই পাঁচটি, সায়েন্স ফিকশন একটি এবং অন্যান্য বই নয়টি।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার অভিধান: দেড়শতম জন্মবর্ষের স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
প্রাবন্ধিক বলেন, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসামান্য কীর্তি বঙ্গীয় শব্দকোষ। তিনি বাংলাদেশ অঞ্চলের লিখিত শব্দভাণ্ডারকে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। তার সংকলিত সংস্কৃত শব্দও বঙ্গীয়, অ-সংস্কৃত শব্দও বঙ্গীয়। বঙ্গদেশে প্রচলিত এবং লিখিত রূপে প্রাপ্ত যাবতীয় শব্দ নিয়ে তিনি অভিযান রচনা করতে চেয়েছিলেন, সফলতার সঙ্গে তা তিনি সম্পন্নও করেছেন। এটাই তার কীর্তি। এই কীর্তির জন্য তিনি বঙ্গবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতাভাজন। যতোদিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের কাছে হরিচরণের অভিধান ততোদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. গোলাম মুরশিদ বলেন, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মরণের তাৎপর্য অপরিসীম। তার অভিধান-অন্বেষা যেমন বঙ্গীয় শব্দকোষের মতো মহার্ঘ্য অভিধান আমাদের উপহার দিয়েছে তেমনি উত্তরকালের গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা রেখে গেছে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সুজিত মোস্তফা, ইয়াসমিন মুশতারী এবং একেএম শহীদ কবীর পলাশ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), বিদ্যুৎ রায় (প্যাড), সুনীর কুমার সরকার (কী-বোর্ড) এবং ফিরোজ খান (সেতার)।
একুশে গ্রন্থমেলার সপ্তম দিনে মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হরিচরণ বাংলা ভাষার প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মোস্তফা জব্বার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নজরুল ইসলাম খান ও শ্যামসুন্দর সিকদার। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএন/জিপি/আইএ