ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: একটা বই কেনা হবে। তাতে বর্ণ থাকবে, স্বপ্ন থাকবে, আরও থাকবে ভালোবাসা। সেসব মিলে রঙিন হয়ে থাকা পৃষ্ঠাগুলো উল্টাতেই সৃজনশীলতায় ঋদ্ধ হবে প্রতিটি শিশু। তাইতো শিশুপ্রহরের দ্বার খুলতেই শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা।

শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বইমেলার দ্বার খুলতেই ভিড় করতে থাকে শিশুরা। অভিভাবকের হাত ধরে একটি নতুন বইয়ের জন্য তাদের যেন অধীর অপেক্ষা।

একইসঙ্গে বইমেলায় প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় অভিভাবকরাও নিজের ছোট্ট সোনামণিটাকে নিয়ে চলে এসেছেন ভালোবাসার বর্ণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে।

সকালে মেলা ঘুরে দেখা যায়, অমর একুশে বইমেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বাংলা একাডেমি শুক্রবারের মেলার একটা অংশকে ‘শিশুপ্রহর’ ঘোষণা দেওয়ায় অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন।

অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরা ঘুরতে বেড়িয়েছে বইয়ের রাজ্যে। এছাড়া এবারের প্রথম শিশুপ্রহরে শিশুদের মনোরঞ্জনে প্রধান আকর্ষণ সিসিমপুরের চরিত্রগুলো। তারা সময় পার করবে তাদের সঙ্গেও। একইসঙ্গে তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলার অন্য অংশগুলোও।
শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা, ছবি: শাকিল আহমেদবইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শিশু চত্বরে এক হাতে বাবার হাত আরেক হাতে বই নিয়ে হাঁটছিল উচ্ছ্বসিত ইভান আহমেদ। কথা হলে লাজুক স্বরে বলে, বইমেলায় আসতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগছে। এখানে অনেক বই। আমিও দুটো বই নিয়েছি। একটা এখানেই পড়ে শেষ করে ফেলেছি। আর অন্যটা বাড়ি গিয়ে পড়বো। মেলা থেকে আরও অনেক বই কিনব।

ইভানের বাবা আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের জন্য বইমেলার আলাদা একটা অংশ করা মানে শিশুদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া। আমাদের উচিত সেই গুরুত্বটা বুঝে শিশুদের মঙ্গলের জন্যই তাদের বইমেলায় নিয়ে আসা। কেননা শিশুদের জন্য বইয়ের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!

শিশুপ্রহর সম্পর্কে মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের জন্য এবার শিশু চত্বর বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। এছাড়া এখানে শিশুপ্রহরের দিনগুলোতে ‘তারুণ্যের বই’ ব্যানারে বইপাঠে উৎসাহিত করা হবে শিশু-কিশোরদের।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এইচএমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।