এ বই প্রকাশ করেছে বাতিঘরের সহযোগী প্রকাশনা সংস্থা- কবিতাভবন। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য।
নতুন এ কবিতার বই নিয়ে জানতে চাইলে মাসুদ খান বলেন, ২০১৮ সালে ‘প্রসন্ন দ্বীপদেশ’ কবিতার বইটি প্রকাশিত হবার পর থেকে গত দুই বছরে যে কবিতাগুলি লিখেছি সেগুলি নিয়েই এবারকার বই ঊর্মিকুমার ঘাটে। বরাবরের মতোই এ বইয়েরও উপজীব্য প্রেম, প্রকৃতি, মানুষ, বিশ্ব সমাজ-সংসার, জীবন আর এদের রহস্য, এদের নৈঃশব্দ্য ও কলরব, যা জলছাপের ইশারার মতো লিপ্ত হয়ে আছে কবিতার শরীরে। আমার প্রতিটি কবিতার বইয়ে থাকে এক বা একাধিক দীর্ঘ কবিতা। এবারকার বইটিতে নেই। এবারে জায়গা করে নিয়েছে কয়েকটি গীতিকবিতা। আছে অনুচ্চ স্বরের হর্ষবিষাদ পদাবলি। শব্দে-নৈঃশব্দ্যে, ছন্দে-দুশ্ছন্দে, রূপনিধি রজকিনী আর যোগিনী ব্যঞ্জনায়, পিশাচীস্পর্শে, লাল-কালো কোলাহলে জেগে-ওঠা এক ভোরের ঊর্মিকুমার ঘাট।
বইটির অনেক কবিতাই ছাপা হয়েছে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায়। নানা সময়ে নানাভাবে সাড়া পেয়েছিলাম কবিতাগুলির ব্যাপারে। বইটার বেশ কিছু কবিতা ছিল অপ্রকাশিত। এখন সব মিলিয়ে বইটি প্রকাশের পর বেশ সাড়া পাচ্ছি সংবেদী সমঝদার পাঠকদের। এ এক সত্যিকারের প্রীতিপ্রদ অনুভূতি। প্রকৃত কবিতাপাঠক এক অনামা, অবস্কিওর, অবিমিশ্র বিশুদ্ধ এনটিটি। স্যালুট, সেই নির্জন বিশুদ্ধ পাঠকসত্তাকে।
এর আগে মাসুদ খানের প্রকাশিত বইগুলো হলো- পাখিতীর্থদিনে (নদী, ১৯৯৩। পুনঃপ্রকাশঃ উড়কি, ২০১৯), নদীকূলে করি বাস (একুশে, ২০০১), সরাইখানা ও হারানো মানুষ (একুশে, ২০০৬), আঁধারতমা আলোকরূপে তোমায় আমি জানি (ভাষাচিত্র, ২০১১। হাওয়াকল, ২০১২), এই ধীর কমলাপ্রবণ সন্ধ্যায় (আড়িয়াল, ২০১৪), দেহ-অতিরিক্ত জ্বর (চৈতন্য, ২০১৫), প্রজাপতি ও জংলি ফুলের উপাখ্যান (চৈতন্য, ২০১৬), প্রসন্ন দ্বীপদেশ (পাঞ্জেরী, ২০১৮), গদ্যগুচ্ছ (চৈতন্য, ২০১৮), শ্রেষ্ঠ কবিতা (কাগজ, ২০১৮) ও পাখপাখালির গান পাগলাঝোরার তান (চৈতন্য, ২০১৯)।
১৯৫৯ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করেন এ কবি। পড়াশোনা তড়িৎ ও ইলেকট্রন প্রকৌশল নিয়ে। বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে একটি কলেজে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এইচজে