নিউইয়র্কের রচেস্টার সিটির ‘ইসলামিক সেন্টার অফ রচেস্টার’ সাংগঠনিক সদস্য ড. আবু ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই বছর বিশ্বজুড়ে যা ঘটছে, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। আমি যখন ইবাদত-প্রার্থনা করতে কেবলামুখি হই, তখন আমার চিন্তিত থাকতে হয় যে, আমার পেছনে কী হচ্ছে?!’
তাই সার্বিক নিরাপত্তা ও মৌসুমকেন্দ্রিক পরিবেশ বিবেচনা করে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো রাষ্ট্রীয় পুলিশকে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিউইয়র্কের মসজিদগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা-বলয় জোরদার ও শক্তিশালী করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ক্যালির্ফোনিয়ার মুসলিমরা তাদের মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে আবেদন করেন। বিশেষত নিউজল্যান্ডের দুই মসজিদ ও শ্রীলংকার গির্জায় মর্মন্তুদ হামলার কারণ দেখিয়ে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এদিকে আবার আমেরিকার ফ্লোরিডায় রমজান উপলক্ষে সব ধর্মের মানুষকে স্বাগত জানানোর জন্য মসজিদগুলোতে চলছে ‘ওপেন ডে মস্ক’ বা ‘মসজিদ উন্মুক্ত দিবস’ কার্যক্রম। এতে বিভিন্ন ধর্মের বিপুল সংখ্যক মানুষ মুসলিমদের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং তাদের সার্বিক কার্যক্রম দেখতে মসজিদগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন শহরের পুলিশ বিভাগ স্থানীয় ইসলামিক সেন্টারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তা রক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ মুসলিম নেতারাও মসজিদে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারকে অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রাইটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের চীফ মার্ক হেন্ডারসন বলেন, আমরা শুধু মানুষকে নিরাপদে রয়েছে, সে অনুভূতিটুকু দিতে চাই। আমরা আরো চাই, মানুষ তাদের উপাসনাস্থল ও বাসা-বাড়িতে যেন ‘সুরক্ষিত’ বোধ করেন।
এদিকে ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে ক্রাইস্টচার্চ ও নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য মসজিদগুলোতে রমজানের বিভিন্ন বড় কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা বিবেচনা করছে।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমএমইউ