ইউনিলিভার বাংলাদেশের (ইউবিএল) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকসী হান্ডাকে বাংলাদেশের ‘টপ মোস্ট গ্লোবাল এইচআর লিডার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের খ্যাতনামা সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস’। খ্যাতনামা আরও দুই সংগঠন ‘সিএইচআরও গ্লোবাল’ এবং ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এইচআর প্রফেশনালস’ এই সম্মাননার অনুমোদন দিয়েছে।
উদ্দেশ্য-চালিত নেতৃত্বের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষত: বাংলাদেশে অসাধারণ অবদান রাখা ও পেশাদার জীবনে ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সাকসী হান্ডাকে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আগামী মার্চে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ৩০-তম ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে সাকসীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান।
‘দ্য টপ মোস্ট এইচআর লিডারস’ নির্বাচনের উদ্যোগটি মূলত ‘ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস’ আয়োজনেরই একটি অংশ। এই তালিকায় যেসব এইচআর লিডার ও পেশাজীবী স্থান করে নিয়েছেন, তারা সবাই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এবং নৈতিকতা ও পেশাদারী মনোভাব নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনে দারুণ সক্রিয়। তিন দশকের দীর্ঘ পথচলায় ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস’ ১৩৩টিরও বেশি দেশের হাজারও পেশাজীবীকে একই ছাতার নিচে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং এটি মানবসম্পদ বিষয়ক পেশাজীবীদের জন্য অন্যতম বৃহৎ বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
১৭ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনে বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ সাকসী হান্ডা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ভারত ও বাংলাদেশে ইউনিলিভারের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রায় ১৫ বছরের। এ সময়ে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব সম্পর্কে প্রগাঢ় দক্ষতা অর্জন করেছেন সাকসী। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইউনিলিভারের টিম পরিচালনার ক্ষেত্রেও দারুণ অবদান রেখে চলেছেন। তার বৈচিত্র্যময় পেশাদার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মধ্যে ‘বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’, ‘অধিগ্রহণ ও একত্রীকরণ, ‘চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট’, ‘ক্যাপাবিলিটি অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট’, ‘এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট’, ‘এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড অ্যান্ড রিওয়্যার্ডস’ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
‘ডিপিএস আরকে পুরাম’ এর গর্বিত সাবেক শিক্ষার্থী সাকসী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দ্রাপ্রাস্থা কলেজ ফর উইম্যান থেকে স্নাতক এবং মুম্বাইয়ের স্বনামধন্য টাটা ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাকসী ইউনিলিভারে কর্মরত মেধাবী তরুণদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি তার মূল্যবোধ, সাহসিকতা, কৌতূহল, পরিচর্যা ও যোগাযোগ দক্ষতায় অনুপ্রেরণাদায়ীর ভূমিকাও পালন করছেন।
সাকসীর জীবনের মূলমন্ত্র হচ্ছে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করা। তাই সমাজের জন্য শুভবার্তা বয়ে আনতে তিনি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য চালু করা স্বেচ্ছাসেবা ও দাতব্য কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এছাড়া শিল্পচর্চা, গল্পের বুনন, গণমাধ্যমে প্রবন্ধ রচনা এবং অন্যান্য উপায়েও সাকসী সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছেন।
হৃদয় দিয়ে মানুষকে উপলব্ধি ও মেধা দিয়ে ব্যবসায়িক ভাবনা মূল্যায়িত করা সাকসী হান্ডা তার এই স্বীকৃতি সম্পর্কে বলেন, ‘মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে জন্য আমাকে উপযুক্ত মনে করায় আয়োজক ও জুরিবোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ইউনিলিভার বাংলাদেশের হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করাটা আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি। একইসঙ্গে এটি মানবসম্পদ উন্নয়নে ইউনিলিভারের দায়বদ্ধতারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই অর্জনের জন্য আমি ইউনিলিভারকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিতে চাই, যেটি সত্যিকার অর্থেই ‘স্কুল অব লিডার’ হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমি কৃতজ্ঞ আমার অসাধারণ টিম এবং সহকর্মীদের কাছে। তারা কোম্পানির ব্যবসা, কর্মী এবং কমিউনিটিতে বাড়তি মূল্য যুক্ত করতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন ও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি আন্তরিক নেতৃত্বে বিশ্বাসী, যা আমার টিমের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মীবান্ধব কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং ব্যবসার কৌশলগত অংশীদারত্ব হিসেবে মানবসম্পদ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এনএসআর