টানা তিন ম্যাচ হারের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের জন্য। বিশেষ করে আফগানিস্তানের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের কাছে একদমই পাত্তা পায়নি তারা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে বাবরের সমালোচনায় আফ্রিদি বলেন, ‘আপনি যখন ম্যাচে মনোযোগী হবেন না, তখন এই সমস্যাগুলো (ফিল্ডিং মিস করা) দেখা দেবে। আর আপনি যখন নিজেকে লুকোনোর চেষ্টা করবেন, ইতিবাচকভাবে ভাবতে পারেন না, তখন বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকেন আরে, আমরা আফগানিস্তানের কাছেই হেরে যাচ্ছি। কোনো উইকেট পড়ছে না। অনেক সময় মনে হয় আমরা অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় থাকি। অলৌকিক কিছু এমনিতেই হয়ে যায় না। এটা ঘটে সাহসী মানুষদের সঙ্গে, যারা জানে কীভাবে লড়াই করতে হয়। ’
আফ্রিদি আরও বলেন, ‘দেখুন, একজন অধিনায়ক কিন্তু সবকিছু। যদি একজন অধিনায়ক নিজে ফিল্ডিংয়ে নিজের জান-প্রাণ দিয়ে দেন, ডাইভ মারেন, দৌড়ে গিয়ে খেলোয়াড়দের সমর্থন দেন, তখন গোটা দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। সবাই দারুণভাবে জেগেও ওঠে। কারণ, অধিনায়ক নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন আর অন্যরা সেটা করলে লজ্জা লাগবে। সে ভাববে, আরে, আমার অধিনায়ক এভাবে উজ্জীবিত হয়ে লড়ছেন, আমি কেন নিষ্ক্রিয় থাকব। ’
নিজের ক্যারিয়ারের কথা টেনে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি বা মোহাম্মদ ইউসুফ যখন অধিনায়ক ছিলাম, আমরা যখন উজ্জীবিত থাকতাম, তখন দলও জেগে উঠত। অধিনায়ক কিছু না করলে গোটা দল কিছু করবে না। যদি ইনজি ভাই (ইনজামাম উল হক) ডাইভ মারত তবে আমাদের লজ্জা লাগত। আরে, অধিনায়ক ডাইভ মারছেন, আমরা কেন মারব না! তাই ঘুরেফিরে সব অধিনায়কের ওপরই আসবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এএইচএস