ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাব্বিরের ফেরার ম্যাচেও জেতা হলো না ঢাকার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
সাব্বিরের ফেরার ম্যাচেও জেতা হলো না ঢাকার

ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেন আরও একবার। তবে এদিন প্রত্যাবর্তন ঘটে সাব্বির রহমানের।

তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। রান তাড়ায় নেমে চিটাগাং কিংসের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন উসমান খান। তবুও তাদের জন্য শেষদিকে কঠিনই মনে হচ্ছিল সমীকরণ। তবে শামীম পাটোয়ারীর ঝড়ে সহজ জয় পেয়েছে তারা।

সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগাং কিংস। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে ঢাকা। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৩ বল আগে জয় পায় চিটাগাং।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। দ্বিতীয় ওভারে আলিস আল ইসলামের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ওপেনার জেসন রয়। স্টিফেন এসকিনেজি (৫) ও শাহাদাৎ হোসেন দিপুও (৯) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

দুজনেই ফেরেন খালেদ আহমেদের শিকার হয়ে। চাপের মুখে চতুর্থ উইকেটে তানজিদ হাসান ও সাব্বির মিলে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। তানজিদ একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকলেও উইকেটে এসেই ছক্কাবৃষ্টি চলে সাব্বিরের। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। তবে ৪৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করা তানজিদকে তুলে নিয়ে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

সাব্বির তার তাণ্ডব চালিয়ে যান ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৯ ছক্কায় ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বিপিএলে এর আগেও এক ইনিংসে ৯ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৯ বছর আগের সেই ম্যাচে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলেন ১২২ রানের ইনিংস। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে একমাত্র সেঞ্চুরি। চিটাগাংয়ের হয়ে ৪ ওভারে কেবল ২১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন খালেদ।

রান তাড়ায় নেমে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় চিটাগাং কিংস। ১৬ বলে ১৭ রান করে ফারমানুল্লাহ শাফির বলে আউট হন পারভেজ হোসেন ইমন। আরেক ওপেনার উসমান খান হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন।

৩৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে ৩৮ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৩২ বলে ৩৯ রান করে ক্লার্ক যখন আউট হন, তখনও সমীকরণ বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল। শেষ তিন ওভারে ৩৩ রান দরকার ছিল তাদের।

কিন্তু সমীকরণ সহজ করে দেন শামীম পাটোয়ারী। ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নেন ১০ রান। এরপর মোসাদ্দেকের ১৯তম ওভারে ১৮ রান নিয়ে খেলা নিয়ে আসেন মুঠোয়।

শেষ পর্যন্ত ১৪ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন শামীম। ২২ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। এ নিয়ে এবারের বিপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচ হারলো ঢাকা। তিন ম্যাচ খেলা চিটাগাংয়ের এটি দ্বিতীয় জয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
এমএইচবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।