প্রশ্নটা সাকিব আল হাসানের জন্য অবধারিতই ছিল। এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না, তিনি নিজেও সেটা করেননি।
যুদ্ধের প্রসঙ্গটা এসেছে টাইমড আউটের কারণে। নিয়মে থাকলেও ১৪৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে এমনটা আগে কখনো ঘটেনি। কিন্তু আজ বদলে গেল ইতিহাস। প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউটের শিকার হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। উইকেটে আসার পর তার বল মোকাবিলা করতে বেশ সময় নিচ্ছিলেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার। যা নির্দিষ্ট সময়কে অতিক্রম করে। এরপর আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন করেন সাকিব। কোনো বল না খেলেই ম্যাথিউস সাজঘরে ফেরার পর সাকিব নিয়ে সমালোচনা-প্রশংসা দুটোই হচ্ছিল।
ম্যাচশেষে সাকিব বললেন পুরো ঘটনার বিস্তারিত। তিনি বলেন, 'আমাদের একজন ফিল্ডার আমার কাছে এসে বলল, যদি আমি আবেদন করি তাহলে (ম্যাথিউস) সে আউট হয়ে যাবে। এরপর আমি আবেদন করি এবং আম্পায়ার আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি সিরিয়াস কি না। এটা নিয়মে আছে; জানি না সেটা ভুল নাকি সঠিক। মনে হচ্ছিল যেন যুদ্ধে আছি, তাই যা করার ছিল, সেটা করেছি আমি। এনিয়ে বিতর্ক হবে। কিন্তু এটা যদি নিয়মে থাকে, আমি সেই সুযোগ নিতে পিছুপা হব না। অবশ্যই এটা (টাইমড আউট) আমাদের সাহায্য করেছে সেটা অস্বীকার করবো না। '
সাকিবের আবেদনে পরে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ম্যাথিউস। পরে বোলিংয়ে এসে সাকিবের উইকেট তুলে নেন তিনি। ঘড়ি দেখানোর উদযাপন করে খোঁচাও দেন কিছুটা। তবে ততক্ষণে ব্যাট ৬৫ বলে ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে বসেন সাকিব। ম্যাথিউসের সঙ্গে সেই বাক্যবিনিময় তাকে জ্বলে ওঠার রসদ জুগিয়েছে।
সাকিব বলেন, 'আমার বয়স এখন ৩৬ এবং লড়াইটা সাধারণত সহজে আসে না তবে খুশি যে আজ সেটা হয়েছে। '
বাংলাদেশ সময় ঃ ২৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৩'
এএইচএস