বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ঘটে যায় বিরল এক ঘটনা। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
বিবৃতিতে এমসিসি জানায়, বাংলাদেশ ও আম্পায়াররা কোনো ভুল করেননি। নিয়ম অনুযায়ী ম্যাথিউস আউট ছিলেন। তাই এই ঘটনা ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী নয়।
ক্রিকেট আইনের ৪০.১.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাটার আউট বা রিটায়ারমেন্ট নেওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটারকে অবশ্যই তিন মিনিটের ভেতর (বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে দুই মিনিট) বল খেলতে হবে অথবা বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তা না হলে ব্যাটার টাইমড আউট হবেন।
এমসিসির মতে, ম্যাথিউস দুই মিনিটের ভেতর বল খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। এমনকি হেলমেটের ফিতা ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি আম্পায়ারকে জানাননি। এমসিসি জানায়, ত্রিশ গজের বৃত্তে যেতেই ৯০ সেকেন্ড লেগে যাওয়ায় ম্যাথিউস হয়তো বুঝতে পারেন, সময়ের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। তাই বাকি পথ কিছুটা দৌড়েই যান।
আগের উইকেট পড়ার ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মাথায় তার হেলমেটের সমস্যা দেখা দেয়। ওই মুহূর্তে পর্যন্ত তিনি গার্ড নেননি এবং বল খেলার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না।
যখন হেলমেটে সমস্যা হলো, তখন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেননি ম্যাথিউস। সাধারণত নতুন সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে তা করতে হয়। কিন্তু তিনি নতুন হেলমেটের জন্য সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা করেন।
তিনি যদি আম্পায়ারকে বলতেন কী হয়েছে এবং সময় চাইতেন, তাহলে তারা (আম্পায়ার) হয়তো টাইমড আউটের বিষয়টি এড়িয়ে হেলমেট পরিবর্তনের জন্য সময় দিতেন।
নিয়মটি ক্রিকেট চেতনার পরিপন্থী কি না সম্পর্কে এমসিসি লেখে, এই নিয়ম না থাকলে একজন ব্যাটার উইকেট পড়ার পর সময়জ্ঞানের পরিচয় না দিয়ে অযথা সময় অপচয় করতে পারেন। যখন দিনের আলো কমতে থাকে এবং ড্র সম্ভাব্য ফল হতে পারে, তখন এই সময় অপচয় একটি সমস্যা হতে পারে। এছাড়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মন্থর ওভার রেটের কারণে ফিল্ডিং দলকে শাস্তির মুখেও পড়তে হয়। এমনকি ব্যাটারের ভাবনায় যদি সময় অপচয় নাও থাকে, তবু খেলাটির গতি ধরে রাখতে ও দুই উইকেটের মাঝে অহেতুক বিরতি এড়াতে টাইমড আউটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এএইচএস