চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকালেন সাকিব আল হাসান প্রায় একই জায়গা থেকে। গ্যালারি থেকে ভেসে এলো ‘সাকিব’, ‘সাকিব’ চিৎকার।
চোখের সমস্যার কারণে ব্যাট হাতে ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না সাকিব। এ নিয়ে হতাশাও ছিল। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে তিন উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এরপর মাঠে তার সঙ্গে ঘটনাগুলোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান নিজেই।
তিনি বলেন, ‘সব থেকে বড় কথা দেখেন, আমদের ক্রিকেট এই জায়গায় আসার পেছনে সাকিব ভাইয়ের অনেক বেশি অবদান রয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমরা খুব বেশিই অকৃতজ্ঞ, যে খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাই, অনেক সময় মাঠে যে ধরনের ঘটনা হচ্ছে, এটা আসলে আমাদের ক্ষেত্রে হলে অনেক সময় মানা যায়, তার ক্ষেত্রে এটা গ্রহণযোগ্য না। ’
সোহানের কাছে প্রশ্ন ছিল সাকিবের তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা নিয়ে। এর আগে রংপুরের ১১ নম্বর ব্যাটার হয়েছিলেন সাকিব। আরেক ম্যাচে নামনেনি পাঁচ ব্যাটার আউট হওয়ার পর। ঢাকার বিপক্ষে হুট করে কেন সাকিব তিনে নামলেন?
এ নিয়ে সোহান বলেন, ‘সাকিব ভাই বিশেষ করে চাচ্ছিলেন একটু সময় নিয়ে (ব্যাট করতে), যেহেতু টি-টোয়েন্টি খেলা, সময় কম থাকে, তো ওভাবেই (পরিকল্পনা) করতেছিল। আল্টিমেটলি আমাদের দলের জন্য তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, সাকিব ভাই নিজেই তিনে ব্যাটিং করতে চাচ্ছিলেন। ’
‘পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট, তাকে এই সমর্থন করতেছে এবং তিনি নিজে থেকে অনেক বেশি চেষ্টা করতেছে যেটা আমি বললাম। আমরা কাছ থেকে দেখতেছি, তিনি কতটা চেষ্টা করতেছে, তিনি কতটা নিবেদিত ওই জায়গাটায় (সেরা অবস্থায় ফেরার জন্য)। এ রকম একটা ইনজুরিতে থাকলে বা খেলোয়াড় যখন স্ট্রাগল পিরিয়ডে থাকে তখন অনেক বেশি মোটিভেশন দরকার হয়। ’
‘ওই জায়গা থেকে আমার কাছে মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টের পুরো সমর্থন তার ওপর রয়েছে, তিনি নিজে থেকে চাচ্ছিলেন একটু সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে, শেষ দিন অনুশীলনের সময় তিনি বলেছেন তিনে ব্যাটিং করলে ভালো হবে, আমার কাছে মনে হয় পুরো টিম ম্যানেজম্যান্ট তাকে এই সমর্থন দিয়েছে। ’
এবারের বিপিএলে রংপুরের খেলা সাত ম্যাচের ছয়টিতে ছিলেন সাকিব। বল হাতে নিয়মিতই পারফর্ম করছিলেন। কিন্তু ব্যাট হাতে দুটিতে নামেননি, ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে আগে বাকি তিন ইনিংসে করেন ২, ২ ও ০ রান। এখন সাকিবের ফেরায় কি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রংপুর?
সোহান বলেন, ‘সাকিব ভাই যেভাবে দলের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, নিজের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, আমার কাছে মনে হয় এটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। তিনি যেভাবে চেষ্টা করছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভালো খেলছেন। দেখেন এই সময়ে এসে সাকিব ভাইয়ের পাওয়ার কিছু নেই এখান থেকে। ’
‘অনেক কিছু পাইছে, আমার কাছে মনে হয় উনি যেভাবে নিজেকে তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছিলেন; ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন বলেন, সব কিছু মিলিয়ে আপনারা জানেন উনি সংগ্রাম করছিলেন কিছু কারণে। কিন্তু ফিরে আসার জন্য যেভাবে চেষ্টা করছিলেন, আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের কাছে অনেক বেশি অনুপ্রেরণার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম