প্রসঙ্গটা বারবার ঘুরেফিরে আসছিল। তাতে হয়তো কিছুটা বিরক্তই হলেন লিটন দাস।
বিপিএলে এবার কোনো দলই দুইশ রান করতে পারেনি। জমজমাট ম্যাচও হয়নি খুব একটা। যদিও লিটন মনে করেন, দুইশ রানের উইকেট জরুরিও নয় সবসময়। বরং যেমন উইকেট পাচ্ছেন, সেটিতেই রান করতে হবে; এমন মনে করেন লিটন।
খুলনা টাইগার্সকে হারানোর পর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দেখেন, আমি কিছু বললে কী উইকেট চেঞ্জ হবে? আমি যদি বলি, কালকের ম্যাচে ২০০ রানের উইকেট দেন, দিতে পারবে? যেটা ফ্যাক্ট সেটা তো ওইভাবে খেলতে হবে। ১৫০ রানের উইকেটে আমরা কিভাবে ১৫০ রান করতে পারি এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আপনি সব সময় টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের উইকেট পাবেন না। ’
‘আমরা প্রতি বছরই চেষ্টা করি। একটা জিনিস সব সময় উইকেটকে দোষ দেওয়া এই জিনিসটা না। যারা ভালো ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে খেলতে পারে তারা কিন্তু এই মাঠেও…এখানেও কিন্তু ১৭০ রান হওয়ার মতো ছিল। তাহলে কিন্তু আমরা কেউই উইকেটকে দোষ দিতাম না। কিন্তু সামহাউ আমরা পারি নাই। সামহাউ মিডল ওভারে আমরা রান বের করতে পারি নাই। তো আমাদের কিছু ল্যাকিংস আছে, ব্যাটাররা কিভাবে মিডল ওভারে রান করব। ’
বাংলাদেশ জাতীয় দলও টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ভালো করতে পারছে না। এ নিয়ে হতাশাও রয়েছে। বিপিএলে ব্যাটারদের মিডল ওভারে রান করতে পারা কি জাতীয় দলেরই প্রতিচ্ছবি? লিটন মনে করেন তেমনই।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয়। আমাদের বাংলাদেশ টিম এই জিনিসটার কারণে ভুক্তভোগী। পাওয়ার প্লেতে রান করলে মাঝখানে খেলতে পারি না। কখনোও মাঝখানে খেলতে পারলে ফিনিশ করতে পারি না। এখনও আমরা লার্নিং প্রসেসে আছি। এমন না যে আমরা খুব টি-টোয়েন্টি ভালো টিম। বিপিএলের গেমগুলো চলতে চলতে এক সময় আমরা শিখতে পারব কিভাবে মিডল ওভারে ক্রিকেট খেলব। ’
কোনো ম্যাচে ২০০ রান হচ্ছে না এমন প্রশ্ন লিটন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কী ২০০ হতেই হবে? এমন কোনো গেম? গ্যালারিতে মানুষ আসে ম্যাচ উপভোগ করতে। সেটা ছয়-চারে হতে পারে, উইকেট নিয়েও হতে পারে। আপনি ২০০ রান করলেন এক টিম, আরেক টিম করল ১১০ মজাটা হলো না। যদি ১৫০ রান হয়, ১৫০ রান চেজেবল হয় কনটেস্ট থাকে…. আমারা কুমিল্লা মনে হয় প্রত্যেকটা গেমই কনটেস্ট করে খেলেছি, ফার্স্ট দুই ম্যাচ তো আপনারা দেখেছেন। আমার মনে হয় দর্শক যেটা চাচ্ছে সেটা উপভোগ করতে পারছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম