সারাক্ষণই থাকেন চনমনে। খুলনা টাইগার্সের অনুশীলনেও সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে এনামুল হক বিজয়কে।
বেশ চনমনে হয়েই ম্যাচ পরিচালনা করেন বিজয়। খুলনার নেতৃত্ব পেয়ে এবার মাঠেও বেশ সফল এই ওপেনার। নিজেও রান করছেন নিয়মিত। ৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬১ রান। কেন নেতৃত্বে এমন চনমনে বিজয়? এই রহস্য নিজেই তিনি বুধবার বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচের পর এই ব্যাটার বলেন, ‘এটা আমার খুব পছন্দের একটা গ্রুপ। এখানে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় আছে। দারুণ বোলার, ফিনিশার আছে। মালিকরাও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দল থেকেও সবাই এক হয়ে থাকে। ’
‘আমি যেটাই বলি তারা ভালোভাবে সেটা গ্রহণ করে। আমিও চেষ্টা করি ওদের কথা শোনার। মোটিভেশন তখনই আসে যখন আপনি দায়িত্ব পাবেন, সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন, সবাই আপনার কথা শুনবে। এটা আমার জন্য দারুণ একটা দায়িত্ব, চেষ্টা করছি শতভাগ দিয়ে করার জন্য। এছাড়া বাড়তি কিছু না। ’
খুলনা এবারের বিপিএলের প্রথম চার ম্যাচেই জিতেছিল। যদিও ওই ফর্মে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে এখন। শেষ দুই ম্যাচেই হেরেছে খুলনা। বুধবার কুমিল্লার কাছে হারে ৩৪ রান। কেন এমন হার? ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে না পারাকে কারণ হিসেবে বলছেন তিনি।
বিজয় বলেন, ‘গত ম্যাচ ১-২ ওভারে বদলে গেছে। হার-জিতের ফয়সালা ছাপিয়ে দারুণ একটা ম্যাচ হয়েছে, এটা বড় জিনিস। পয়েন্ট হারিয়েছি এটা সত্যি, তবে খেলাটা দারুণ ছিল। আমাদের কাছ থেকে ওরা নিয়ে গেছে, ব্যাপারটা এরকম। আজ ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো করতে পারিনি। আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা দরকার ছিল, বিশেষ করে আমার। যেটা আমি করিনি। এজন্য খারাপ লাগছে। আমি ইনিংস বড় করলে খেলার মোমেন্টাম বদলে যেত। ’
‘প্রতি ম্যাচেই আমরা দারুণ একটা পরিকল্পনা করে আসি। মাঠে তো খেলোয়াড়দের খেলতে হয়, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়। যতই পরিকল্পনা করি বা বাইরে থেকে সাপোর্ট দিক, দায়িত্ব খেলোয়াড়দেরই নিতে হবে। অবশ্যই আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমারও আরও ভালো খেলা উচিৎ। বাকি ব্যাটারদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। সবাই ভালো শেপে আছি। এই ম্যাচে ক্লিক করতে পারিনি। তবে সবার সামর্থ্য আছে ভালো করার। সবাই সব দিক থেকে সহযোগিতা করব এবং ওরাও শতভাগ দিয়ে পরের ম্যাচে কামব্যাক করার চেষ্টা করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম