নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে পারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে পরের পর্ব।
গতকাল ডাচদের বিপক্ষে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২৫ রানে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে দারুণ ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন সাকিব আল হাসান। পরে বল হাতে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। দুজনেই প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন। রান আটকে রেখে প্রশংসিত হচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। তাদের খেলায় মুগ্ধ পাকিস্তানের দুই সাবেক ক্রিকেটার মিসবাহ উল হক এবং শোয়েব মালিক।
পাকিস্তানভিত্তিক ‘হাম স্পোর্টস’–এর অনুষ্ঠান ‘দ্য ফ্লিক’–এ উপস্থিত হয়ে সাকিবকে নিয়ে মিসবাহ বলেন, ' সাকিব সম্ভবত ১৭ বছর ধরে খেলছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এটা (রান পাওয়া) দরকার ছিল। দলের জন্যও তার ফর্মে ফেরা জরুরি ছিল। তার ইনিংসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সে বেশ কর্তৃত্ব দেখিয়ে রান করেছে। শুরুতে উইকেট পড়ে যাওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহ গড়তে ভূমিকা রেখেছে। '
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আজ সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। ইকোনোমি রেট মাত্র ৩। তার বলে নিয়ন্ত্রণ কত বেশি ছিল, তা বোঝা যায় বাকিদের ইকোনোমি রেট দেখলে। বাকিরা কেউ ওভারপিছু ৭ রানের কম দেননি। আর উইকেট শিকারের দিক থেকে রিশাদ ছিলেন বাকিদের চেয়ে বেশি কার্যকর। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিলেও ৩ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।
মিসবাহর মুখেও মোস্তাফিজ এবং রিশাদের প্রশংসা ঝরে পড়লো। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, 'মোস্তাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করেছে। উইকেট অনেকটা বাংলাদেশের মতোই। তাই ব্যাটাররা তার স্লোয়ার বুঝতেই পারেনি। রিশাদও দারুণ করেছে। পরের ম্যাচ (নেপালের বিপক্ষে) জিতে যদি বাংলাদেশ সুপার এইটে যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তারা খুব কার্যকর হতে পারে।
একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকও মোস্তাফিজের প্রশংসা করে বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে তাদের বোলিং আক্রমণ দারুণ। এখানে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকে। বাংলাদেশের মোস্তাফিজ আছে, যার স্লোয়ার বল তুলনামূলক নতুনদের জন্য খেলা কঠিন। এই ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। যে কারণে সে এত কম রান দিয়েছে। '
আজকের ম্যাচে নাজমুল হাসান শান্তর অধিনায়কত্বের প্রশংসাও করছেন অনেকে। শোয়েব মালিকের চোখে ডাচদের হারানোর পেছনে শান্তর নেতৃত্বের বড় ভূমিকা রয়েছে, 'নেদারল্যান্ডসের প্রথম ৫ ব্যাটারই কিন্তু ভালো শুরু পেয়েছিল। এমন ম্যাচে অধিনায়কত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। যা আজ হয়েছে। সাকিবের ওভারে যখন ওদের (ডাচদের) বিক্রমজিত দুটি এবং রিশাদের ওভারে একটি ছক্কা মারার পর শান্ত অধিনায়ক হিসেবে তৎপর ছিল। সে তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোলিংয়ে নিয়ে আসে। সাধারণ বাঁহাতি বাটারদের বিপক্ষে ডানহাতি স্পিনাররা মাঝে মাঝে খুব কার্যকর হয়ে ওঠে। আজও সেটাই হয়েছে। বোলিংয়ে এসে উইকেট নিয়ে নেয় মাহমুদউল্লাহ। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এমএইচএম