বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই, তবে এতে নিজেদের পারফরম্যান্সে একটুও চাপ পড়তে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। দারুণ বোলিংয়ে অল্প রানে উগান্ডাকে গুটিয়ে দিয়ে দলটির বোলাররা গড়লেন বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
আগে ব্যাট করতে নামা উগান্ডাকে এদিন স্রেফ ৪০ রানে অলআউট করে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানে অলআউটের রেকর্ড আছে আর দুটি। চলতি আসরে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে থামিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই রানে ২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে অলআউট করেছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হিসেবে সর্বনিম্ন রান এটিই। আগের রেকর্ডটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৬ সালে তাদের ৭০ রানে অলআউট করেছিল কিউইরা।
উগান্ডাকে অল্প রানে আটকানোয় দারুণ বোলিং করেন টিম সাউদি। ৪ ওভারে স্রেফ ৪ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কম রান দেওয়া বোলার এখন তিনি। শুধু তাই নয়, কিউইদের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে সবচেয়ে কম রান দেওয়া বোলারও সাউদি। আগের রেকর্ডটি অবশ্য বাংলাদেশর বিপক্ষে; ২০১০ সালে ৪ ওভারে ৬ রান দিয়েছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
ম্যাচটিতে শুধু সাউদি নয়, দারুণ বোলিং করেন ট্রেন্ট বোল্ট ও লুকি ফার্গুসন। বোল্ট নেন ৭ রানে ২ উইকেট। আর ফার্গুসন ৯ রানে শিকার করেন ১টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের হয়ে তিন বোলারের দশের কম রান দেওয়ার রেকর্ড এটিই।
উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে ৮৮ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়। চলতি আসরে ১০১ বল হাতে রেখে ওমানকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল বাকি রেখে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে কিউইদের জয় এটি। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৭৪ বল বাকি রেখে জয়লাভ করে তারা।
আগে ব্যাট করতে নামা উগান্ডা পাওয়ার প্লেতে অর্থাৎ প্রথম ৬ ওভারে ৯ রানে হারায় তিন উইকেট। বিশ্বকাপে প্রথম ৬ ওভারে এটিই কোনো দলের হয়ে সর্বনিম্ন সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটি করেছিল পাকিস্তান। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে করে ১৩ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
আরইউ