ঢাকা: দ্বিতীবারের মতো নিষেধাজ্ঞা পেয়ে ১২ মাসের জন্য বোলিং থেকে বহিষ্কার হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার মারলন স্যামুয়েলস। সর্বশেষ ২০১৩ সালে বোলিং থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ডানহাতি এ অফ স্পিনার।
২০১৩ সালে দ্রুত গতির বোলিং করার জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্যামুয়েলস। আর চলতি বছরের অক্টোবরে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে আম্পায়ারদের সন্দেহের তীরে পড়েন তিনি। পরে ব্রিসবেনে আইসিসি’র নিরপেক্ষ পরিক্ষাগারে টেস্ট করালে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে ধরা পড়েন। তার হাতের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি ভাঙার প্রমাণ মেলে।
আর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো স্যামুলসের বোলিং প্রশ্নবিদ্ধ হলো। সর্ব প্রথম ২০০৮ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে দ্রুত বল করার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে তিনি নিষিদ্ধ হলেও নিজের বোলিং শুদ্ধ করে আবারও ২০১১ সালে ফেরেন।
২০১৩ সালে মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হয় ক্যারিবীয়ান এ তারকার বোলিং। তখন তাকে অফব্রেক বল করার অনুমতি দিলেও দ্রুত গতির বল করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
২০১৫ সালে তৃতীয় কোন বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার হলেন স্যামুয়েলস। গত নভেম্বরে তার জাতীয় দল সতীর্থ সুনিল নারিন ও জুলাইয়ে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ১২ মাসের জন্য বোলিং থেকে নিষেধাজ্ঞা পান। ২০১৪ সালের পর দ্বিতীয়বার হাফিজের বোলিংয়ে অবৈধতা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫
এমএমএস