ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিজেদের ওপর বিশ্বাস বাড়াতে হবে: মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
নিজেদের ওপর বিশ্বাস বাড়াতে হবে: মাহমুদউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

জিম্বাবুয়ের মতো ক্ষয়িষ্ণু দলের বিপক্ষে ১৫১ রানে হার, তাও চতুর্থ দিনের অর্ধেকটা সময়ে পার না হতেই! ওয়ানডে ক্রিকেটে যাদের ধবলধোলাই করল, সেই দলের কাছেই এমন হারের আর কিইবা ব্যাখ্যা থাকতে পারে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও তাই বললেন-নিজেদের ওপর বিশ্বাসের ঘাটতিই হয়তো এমন লজ্জার পরাজয়ের মূল কারণ।

ওয়ানডেতে যেমন উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে, ক্রিকেটের কুলীন ফরম্যাট তথা টেস্ট ক্রিকেটে তেমনি ক্রমেই অধঃপতন হচ্ছে টাইগারদের। ১৮ বছরের টেস্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটা দলের এমন ক্রমাবনতি সত্যি বিস্ময়কর।

বিদেশের মাটিতে টেস্টে বরাবরই খারাপ খেলে এসেছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে এক শ্রীলঙ্কা সফরে সিরিজ ড্র করা ছাড়া আর কোনো সুখস্মৃতি নেই বললেই চলে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কিছুটা বিধ্বস্ত মুখশ্রী নিয়ে হাজির মাহমুদউল্লাহ। এমন হারের কি সত্যিই কোনো সহজ ব্যাখ্যা জানা আছে তার? দেখে মনে হলো না। তবে কোনো অজুহাত দিতে দেখা গেল না তাকে। বরং অকপটে মেনে নিলেন নিজেদের ভুলগুলোকে।

‘টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে যতটুকু ডিসিপ্লিন থাকা উচিৎ, আমার মনে হয় এই ম্যাচে আমাদের দলে তা ছিল না, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে। উইকেট ভালোই ছিল। আমার মনে হয় ডিসিপ্লিনটা নিয়ে আরও ভাবতে হবে। আর নিজেদের ওপর বিশ্বাসটা আরও বাড়াতে হবে। ’

‘বিগত কয়েকটা ম্যাচ আমরা খুব বাজেভাবে ব্যাটিং করেছি। আমাদের অবশ্যই এই পরস্থিতি থেকে বের হতে হবে। ’

চতুর্থ দিনে হাতে ১০ উইকেট আর ২৬ রান ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। হাতে পুরো দু’দিন আর প্রয়োজন ২৯৫ রান। কঠিন লক্ষ্য। এমন লক্ষ্য তাড়া করতে সকালে কি পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ’র উত্তর, ‘পরিকল্পনা তো সফল হয়নি। কাল যখন টার্গেট স্থির হয় ৩২১ রানের, আমরা আলোচনা করেছিলাম যে আমরা পজিটিভ থাকবো, জেতার জন্য খেলবো। উইকেটও ভালো ছিল। আসলে আমরাই বাজে বাটিং করেছি। আর ডিসিপ্লিনের অভাবের কারণেই আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ’

‘তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সামর্থ্য আছে। আমরা যদি নিজেরা আলোচনা করি, ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি, তাহলে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। ’

‘আমি ভেবেছিলাম যদি আমি ভালো কিছু করতে পারি তাহলে হয়তো কাজে দেবে। আমি নিজে চেষ্টা করেছিলাম বড় একটা পার্টনারশিপ গড়তে। কিন্তু পারিনি। টেস্ট ক্রিকেটে পার্টনারশিপ না হলে জেতা অসম্ভব। '

‘ওয়ানডেতে আমরা ভালো করেছি। কিন্তু টেস্টে অনেকদিন থেকেই আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারছি না। এটা নিয়ে ভালোভাবেই ভাবতে হবে। আমার মনে হয়, এভাবে চলতে থাকলে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা কোনো অবস্থানে থাকতে পারব না। আর এটা আমাদের ইমেজেরও ইস্যু। তাই আমাদের এটা শক্তভাবে সমাধান করতে হবে। '

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং নিয়ে হতাশা বাড়ছে। বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিংয়ের মূল সমস্যাটা আসলে কোথায়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতাই মূল কারণ। শট খেলায় আরও ধৈর্য ধরতে হবে। আর ছোট ছোট জুটি গড়তে হবে। ' 

'টপ অর্ডার থেকে বড় রান আসতে হবে। কিন্তু আমরা টপ থেকে লো অর্ডারে সবাই ব্যর্থ হচ্ছি। এটা যদি ঠিক করতে পারি তাহলে ঢাকা টেস্টেই দেখবেন আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। '

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।