২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল একই কায়দায় ভারতের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিসি’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
প্রায় ১০ বছর পর সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে ফিরেছে টেস্ট ক্রিকেট।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘পাকপ্যাশন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঁয়াদাদ আইসিসি’র প্রতি ভারতকে বয়কটের আহবান জানিয়েছেন। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন থেকে একপ্রকার নির্বাসিত হয় পাকিস্তান।
সম্প্রতি ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে প্রায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে এই ঘটনাকে ইঙ্গিত করে মিঁয়াদাদকে বলতে শোনা যায়, ‘আইসিসির কাছে আমার বার্তা, ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর ভারত সফর বাতিল করুন। এখন আমরা দেখব, আইসিসির সুবিচার কেমন, তারা কী করতে যাচ্ছে এবং তারা বিশ্বকে কী বলতে যাচ্ছে। আমি আইসিসির প্রতি আরও আহবান জানাই, প্লিজ অন্য দেশে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সফরও বাতিল করুন। ভারতে এখন বর্ণবাদ চলছে এবং কাশ্মীর এবং অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের মতো ক্রীড়া তারকাদেরও এ ব্যাপারে মুখ খোলা উচিত। ’
এরপর আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সব দেশের কাছে দাবি জানাচ্ছি, আপনারা মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং ভারতের নিন্দা করুন। সারা বিশ্ব দেখছে এবং সবাই চিন্তিত, জাতিসংঘও কথা বলছে। যেখানে মানুষকে পশুর মতো মারা হচ্ছে, সেই ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ভারতের লজ্জা পাওয়া উচিত। ভারত শেষ হয়ে গেছে। ’
“আইসিসি, সারা বিশ্বকে বলো, যারা আইসিসি’র সদস্য দেশ, তাদের অবশ্যই ভারতের মাটিতে কোনো ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ভারত আর নিরাপদ দেশ নয়। অন্য দেশগুলো ভারতের চেয়ে ভালো কারণ সেখানে তারা নিজেদের দেশের মানুষের সঙ্গেই লড়ছে। সেখানে যা হচ্ছে, অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে,” শেষ করেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক।
এর আগে ভারতকে ‘পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান এহসান মানি। ‘ক্রিকেটপাকিস্তান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি পাকিস্তান নিরাপদ। যদি কেউ এখানে না আসতে চায় তাহলে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে পাকিস্তান অনিরাপদ। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের চেয়ে বেশি অনিরাপদ ভারত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এমএইচএম