আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দু’টি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের টেস্ট সিরিজের পর এবারই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে খেলবে প্রোটিয়ারা।
সময়সূচি অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি করাচি পৌঁছাবে দ.আফ্রিকা। এরপর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ২৬ জানুয়ারি জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে তারা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে ৪ ফেব্রুয়ারি, রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল।
আর এবারই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে প্রোটিয়ারা। সিরিজের প্রত্যেক ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই সফর নিশ্চিতকরণ নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য বড় এক মাইলফলক। কেননা ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার টিম বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন ঘরের মাটিতে ক্রিকেট আয়োজন থেকে দূরে ছিল তারা।
তবে ২০১৫ থেকে সতর্কভাবে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে তারা আপাতত সফল। গত ১৫ মাসে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে তাদের মাটিতে সিরিজ খেলেছে। এবার সেখানে যোগ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম।
পাকিস্তান সফর সম্পর্কে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) ক্রিকেট ডিরেক্টর গ্রায়েম স্মিথ বলেন, ‘এটা দেখা খুবই আনন্দের যে, অনেক দেশ পাকিস্তানে ফিরছে। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই উচ্ছ্বসিত সেসব দেশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরে। তারা খুবই গর্বিত, ক্রিকেটপ্রেমী জাতি। আমি জানি, পাকিস্তানের লোকজন ক্রিকেটের জন্য কতটা আবেগী। তারা ক্রিকেট খুব ভালোবাসে ও সমর্থন করে যা প্রোটিয়ারা দল হিসেবে উপভোগ করে। ’
এই সিরিজের ঘোষণা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ডিরেক্টর জাকির খান বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজ দিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে ফিরবে, যার শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। যাহোক, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে, যখন পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব এবং এইচবিএল পাকিস্তান সুপার লিগ-২০২০ আয়োজন করেছিল। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রীড়া বিশ্বের জন্য ২০২০ সাল এক চ্যালেঞ্জিং বছর, তবে পিসিবি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সক্রিয়ভাবে এবং কৌশলগতভাবে এগিয়েছে। অতএব ২০২০-২১ মৌসুমে আমরা ম্যাচের ৬০ শতাংশের কাছাকাছি সফলভাবে চালিয়ে নিয়েছি। ’
আগামী বছর পাকিস্তান সফর নিশ্চিত করলেও ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছে দ.আফ্রিকা। দু’দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হলেও সম্প্রতি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ পরিত্যক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে।
দ.আফ্রিকা ছাড়াও ভবিষ্যতে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে মৌন সম্মতি দিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
ইউবি/এমএমএস