টেস্ট ক্রিকেটে পথচলায় বাংলাদেশের ২১ বছর পার হতে চলেছে। দীর্ঘ এই সময়ে বাংলাদেশের কোনো আম্পায়ার যুক্ত হতে পারেননি আইসিসির এলিট প্যানেলে।
আইসিসি আম্পায়ারদের মর্যাদার সর্বোচ্চ স্থান হলো এলিট প্যানেল। টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় এই এলিট প্যানেল। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশি আম্পায়াররা টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন।
আম্পায়ারিং পলিসিতে পরিবর্তন এসেছে। করোনার জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কমিয়ে আনার জন্য এবং ঝুঁকি এড়াতে এখন থেকে স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই এই ফল হাতে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টে হোম সিরিজ পরিচালনা করবে বাংলাদেশের আম্পায়াররা। আর এই সুযোগটাই বাংলাদেশের আম্পায়ারদের কাজে লাগাতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এবং আম্পায়ার এনামুল হক মনি। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মিরপুরে আম্পায়ারিং কোর্স পরিচালনার মাঝে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান তিনি।
মনি বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করা সৌভাগ্যের ব্যাপার এবং বিরাট অর্জন, বিরাট সুযোগ। আমার মনে হয় বাংলাদেশের আম্পায়ারদের জন্য একটা সুযোগ হতে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত জানি যে স্বাগতিক আম্পায়াররাই আম্পায়ারিং করবে। তো এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমরা পারফরম্যান্স যদি মাঠে এবং টিভিতে ভালো করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় বাংলাদেশি আম্পায়ারদের নিয়ে আইসিসির দ্বিতীয় চিন্তা আসবে যে আমাদের আম্পায়াররা উপরে যাওয়ার যোগ্য। ’
এ পর্যন্ত বাংলাদেশের চারজন আম্পায়ার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের দুটি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এএফএম আখতারউদ্দিন। এছাড়া একটি করে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন মাহবুবুর রহমান ও শওকাতুর রহমান। সবাই আম্পায়ারিং করেছেন ২০০১-০২ সালের দিকে।
এরপর ২০১২ সালে সর্বশেষ নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান রড টাকারের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন এনামুল হক মনি। ২০১৫ সালে আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন মনি। বর্তমানে স্থানীয় আম্পায়ারদের কোচিং করাচ্ছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম