চট্টগ্রাম: মাসের শেষ ছুটির দিন জমে উঠেছে চট্টগ্রামের বই মেলা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই বই প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
বইমেলার পাশেই জিমনেশিয়াম হলে দুপুর থেকেই রবীন্দ্র ও নজরুল উৎসব, ছড়া ও কবিতা পাঠের আসর এবং বসন্ত উৎসবসহ নানা আয়োজন।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন তরুণ-তরুণীরা। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে, আবার কেউ এসেছেন প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। সপ্তাহের বন্ধের দিনে সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখর বইমেলা। কবিতা, আবৃত্তি,গানের আসরে জমে উঠেছে অন্যান্যদিনের চেয়ে কয়েকগুন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, বই মেলার শেষ ছুটির দিন হওয়ায় মেলার পরিবেশ ছিল জমজমাট। সব বয়সী বইপ্রেমীদের ছিল ভিড়। স্টলে বই হাতে নিয়ে মলাট উল্টিয়ে দেখছিলেন তারা। সপ্তাহের ছুটির দিনে পরিবার বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে পাঠকরা স্টল ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনেছেন। এক সঙ্গে বসে লেখকরা ও বই প্রেমীরা সপ্তাহের ছুটির দিনে জমেছেন আড্ডায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রামের বইমেলায় স্টলের সংখ্যা এবার বেড়ে হচ্ছে ১৪০টি । আগেরবার ছিল ১২০টি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মিলিয়ে ১০৮টি প্রকাশনা সংস্থা এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে। ২১ দিনব্যাপী এ বই মেলার দশদিন আজ।
মেলায় অনিন্দ্য প্রকাশনী, প্রথমা, বাতিঘর, সাহিত্য বিচিত্রা, চন্দ্রবিন্দু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, ইউপিএল সহ বিভিন্ন বুথের পাশাপাশি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, মঞ্চ ও সেলফি কর্নার রয়েছে। পাশাপাশি ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। মেলা পরিষদের কক্ষ, সুপরিসর মিডিয়া সেন্টার, হেলথ কর্নার, ফায়ার সার্ভিস, অভ্যর্থনা কক্ষ, টিভি বুথ, এটিএম ব্যাংকের বুথ, সার্বক্ষণিক সেবা ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের সার্ভিস বুথ রয়েছে।
বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু) বাংলানিউজকে বলেন, মেলার শেষ ছুটির দিন আজ। তাই সব বয়সী মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি। মেলায় মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখা উপন্যাস, গল্প, বাঙ্গালির ইতিহাস ঐতিহ্য, চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ছোটদের পাওয়া যাচ্ছে গল্পের ও কবিতার বই, বড়দের জন্য রয়েছে কবিতার বই, গল্প, উপন্যাসের বইপ্রেমীদের আকৃষ্ট করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
বিই/টিসি