ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জ্যোতির্ময় বঙ্গবন্ধু’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
‘জ্যোতির্ময় বঙ্গবন্ধু’ বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: শোকাবহ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শৈলী প্রকাশন আয়োজন করেছে ১৫ দিনব্যাপী ‘জ্যোতির্ময় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে সেমিনার, কবিতা পাঠ ও বইমেলা।  

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুর নাহার মিলনায়তনে উদ্বোধনী দিনের সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক। শৈলীর প্রকাশক আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন কবি ওমর কায়সার, কবি হাফিজ রশিদ খান, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির।
সূচনা বক্তব্য দেন শৈলী প্রকাশনের উপদেষ্টা কবি সাংবাদিক রাশেদ রউফ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ, আবৃত্তি করেন পড়শী পাল।  

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির পথপ্রদর্শক। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।  

বঙ্গবন্ধু এখনো অনাবিষ্কৃত ব্যক্তিত্ব। তাঁকে আবিষ্কার করতে হলে আরো শত বছর চলে যাবে। বঙ্গবন্ধু নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলেছিলেন যার ফলে তিনি হয়ে উঠেন বিশ্ব ব্যক্তিত্ব। সমাজকল্যাণ, মানবকল্যাণ ও মানুষের সেবা এসব ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রথম পাঠ। বঙ্গবন্ধু ধার্মিক ছিলেন তবে ধর্মান্ধ ছিলেন না। তিনি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও গুণগত শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে বাঙালি অনেক উঁচু পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।  

মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, মনুষ্যত্ব তথা মানবতা বোধের ওপর সবসময় গুরুত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। মানুষের প্রতি অমানবিক কোনো আচরণ কিংবা অবহেলা দেখলে তিনি বিচলিত হয়ে পড়তেন। এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য দলীয় কর্মী বা বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাবধান করে দিতেন, আকুতি জানাতেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ এবং সেবার ক্ষেত্রে ধনী-গরিব ভেদাভেদ না করার জন্য নির্দেশ দিতেন। ছাত্রদেরও সবসময় নৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা ও মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।  

বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় দিনের সেমিনারের বিষয়: বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা। এতে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করবেন অধ্যাপক কানাই দাশ। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ফাউজুল কবির। আলোচনায় অংশ নেবেন কবি কমলেশ দাশগুপ্ত, কবি কামরুল হাসান বাদল ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসহাক। সূচনা বক্তব্য দেবেন জাহাঙ্গীর মিঞা। কবিতা ও ছড়া পাঠ, আবৃত্তি করবেন অরুণ শীল, আকতার হোসাইন, কামরুন ঋজু, বদরুননেসা সাজু, আজিজ রাহমান, আজিজ কাজল, অমিত বড়ুয়া, অনুপমা অপরাজিতা, অপু বড়ুয়া, আখতারুল ইসলাম, অপু চৌধুরী, গৌরীপ্রভা দাশ, পুষ্পিতা সেন, অভি ওসমান, রশীদ এনাম ও অর্চনা রানী আচার্য।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।