চট্টগ্রাম: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে অভিযানও শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
সম্প্রতি ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান কয়েক দফা খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেছেন। জেলা প্রশাসক তাদের হুঁশিয়ার করে দেন যাতে তারা বেশি লাভের আশায় সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি মুনাফা না করেন।
এরপরেও অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট কারসাজি করেই চলেছে। তাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যাঁতাকলে পড়ে সাধারণ ক্রেতারা আছেন বিপাকে৷ অনেক মধ্যবিত্তই এখন নিম্নমধ্যবিত্তের কাতারে৷
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে ছিলেন। নগরের বিভিন্ন স্থানে তারা অভিযান পরিচালনা করেছেন। কিন্তু কাউকে জরিমানা করা হয়নি। কারণ আমরা প্রথমে তাদের সুন্দর করে বুঝিয়ে বলবো। পরে যদি তারা সংশোধন না হয় তখন আমরা কঠোর হবো। মামলা ও জরিমানার দিকে যাবো। এখন থেকে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বুধবার দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নগরের কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চান্দগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের আমরা প্রথমে সতর্ক করেছি। পরে আমরা কঠোর হবো।
তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে কিনা, প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে মূল্য ও মেয়াদ লেখা আছে কিনা, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ, মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেছে কিনা এ বিষয়গুলো যাচাই করা হয়েছে। যারা এসব বিষয় অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ক্যাব, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর, চট্টগ্রাম চেম্বার ও সিএমপির টিম অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ১৬ মার্চ, ২০২২
বিই/টিসি