ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় ১৪ দিনের জেলহাজতে নূর হোসেন

ভাস্কর সরদার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪
কলকাতায় ১৪ দিনের জেলহাজতে নূর হোসেন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: কলকাতায় আটক নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ তিনজনকে ১৪ দিনের জন্য জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। এরপর ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।



সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ছয়টায় বাগুইহাটি থানা থেকে তাদের বারাসাত আদালতে হাজির করা হয়। পরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিটি পড়ে শোনানো হয়।

আদালতে পুলিশ বলেছে, তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

বিচারক মধুমিতা রায় সবকিছু শুনে তাদের ১৪ দিনের জন্য জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় আদালতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

এর আগে বারাসাত মেডিকেল সেন্টারে তিনজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর‍ানো হয়।

গত ১৪ জুন শনিবার রাতে ভারতের কলকাতা-পুলিশ নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কলকাতার দমদম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস বিমানবন্দরের পাশে কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মে রেড ওয়ারেন্ট জারি করে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। ফ্রান্সভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি ২৭ মে বিকেলে তাদের ওয়ানটেড পারসনের রেড ওয়ারেন্ট পাতায় নূর হোসেনের নাম সংযুক্ত করে।

এর আগে রেড ওয়ারেন্টভূক্ত করতে গত ২২ মে পুলিশ সদর দফতরকে চিঠি দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন। পরে পুলিশ সদর দফতর রেড ওয়ারেন্টের জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়। নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে আছেন বলে নিশ্চিত হয়েছিল র‌্যাব।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন।

অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার পর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দিলেও তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠার পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান নূর হোসেন।

নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা র‌্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে নজরুলসহ সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন বলে নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১-এর তখনকার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাকে অবসরে পাঠানো হয়। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা গ্রেফতার হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।