কলকাতা: জেলে থাকলেও দলের পছন্দের প্রার্থী তারা। তাই বন্দিদশাতেই রাজ্য বিধানসভার ভোটে লড়ছেন উইলসন চম্পামারি ও রাজেশ লাকড়া।
২০০৮ সালে জলাপাইগুড়ি জেলার কালচিনি কেন্দ্রে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হয়ে বিজয়ী উইলসন এবারেও মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তরাইয়ের শিবসুতে পুলিশ ও মোর্চার সংর্ঘষ হয়। এতে দুজন পুলিশ সদস্য মারাত্মক আহত হন। ওই মামলায় তিনি এখন জেলে।
অন্যদিকে একই জেলার নাগরকাট বিধানসভার প্রার্থী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের প্রার্থী রাজীব লাকড়া পুলিশ আবাসনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে জেলে। দুজনেরই কারোরই ভোটের আগে মুক্তি পাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই জেল থেকেই মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তারা। অগত্যা প্রার্থীকে ছাড়াই প্রচারে নেমেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হরকাবাহাদুর ছেত্রী এই অসুবিধার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একটু সমস্যা হচ্ছেই। উনি বাইরে থাকলে নিজে সব কাজ তদারকি করতে পারতেন। তবে গত নির্বাচনে যেহেতু মানুষ তাকে জিতিয়েছে, এবারও জেতাবে। ’
এদিকে নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে মাঝে মাঝেই জেলে গিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করতে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির। নতুন ভোটাররা প্রার্থীকে না চেনায় সমস্যায় পড়ছেন তারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুই প্রার্থীরই দাবি জেলে থেকে ভোটে লড়াটা একটা বাড়তি প্রচারের সুবিধা। এই আবেগেই মানুষ তাদের ভোট দেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে পশ্চিমবঙ্গে জেলে থেকে ভোটে জেতার নজীর রয়েছে। নকশাল প্রার্থী সন্তোষ রানা সত্তরের দশকে জেলে থেকেই বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১১